নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রিয় সন্তানেরা যন্ত্রণায় ছটফট করছে। আর সহ্য হয় না। রাতে ভাবি, সকালে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পাতবো। নিজের শরীরের যা যা বিক্রি করা যায়, সবই বিক্রি করে তাদের চিকিৎসা করাবো। দিন দিন ছেলে-মেয়ে দুটোর মুখ, পেট ফুলে যাচ্ছে। সারা মাস ধরে খোঁজতে হয় রক্ত। মাসের মাথায় পরীক্ষা করে তাদের শরীরে সেই রক্ত দিতে হয়। আমি কি করবো? কোন পথ পাচ্ছি না।
বলছিলেন, এক অসহায় হতদরিদ্র মা ডলি আক্তার। দরিদ্র বাবার মেয়ে সে। প্রায় ১৩ বছর আগে আজম নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরের বছরই তাদের ঘর আলো করে আসে ১ পুত্র সন্তান মোসাব্বের আলী মুন্না (১১)। জন্মের পর থেকেই মুন্না প্রায় অসুস্থ্য থাকে। এর বছর চারেকপর ডলি-আজমের ঘরে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান মারিয়া(৭)। মারিয়ার জন্মের ক’দিন পরই জানাযায় সে থ্যালাসামিয়ায় আক্রান্ত। এ খবরে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তাদের মাথায়। মারিয়ার বয়স যখন ২ বছর তখন সব ফেলে নিরুদ্দেশ হয় মারিয়ার পিতা আজম। যার খোঁজ আজও মেলেনি। দু’সন্তানকে নিয়ে বড়ই বিপাকে দিন কাটতে থাকে ডলি আক্তারের। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে কোনমতে তিনজনের পেট চলে কিন্তু চিকিৎসা? দিনমুজুর ভাইয়ের বাসায় কোনমতে ঠাসাঠাসি করে থাকার ঠাঁই হয়েছে ডলিদের। ছেলে মুন্নার রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ এবং মেয়ে মারিয়ার এ পজেটিভ। প্রতি মাসেই তাদের শরীরে রক্ত দিতে হচ্ছে। সেখানেও সব মিলে খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার টাকা। এরপর প্রতিদিনকার ওষুধতো আছে। ঢাকার চিকিৎিসকেরা বলেছেন, মুন্না এবং মারিয়া থ্যালাসেমিয়ার পাশাপাশি লিভার জনিত রোগেও ভুগছে। আর মুন্নার পত্তথলিতেও পাথর রয়েছে। দ্রুত চিকিৎসা না করালে অকালেই ঝরে যেতে পারে ডলি আক্তারের বেঁচে থাকার স্বম্বল। মুন্না এখন নগরীর বাগমারা-হরিনটানা কেএম ফজলুল বারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র।
ডলি আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, যাকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম। সেও সন্তানের অসুখের কথা শুনে নিরুদ্দেশ। আমি এখন কার কাছে যাব। কি করবো। আমার জন্মটাই যেন পাপ। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহায়তার হাত ছাড়া আমার বেঁচে থাকার সম্বলও চোখের সামনে শেষ হয়ে যাবে। সুন্দর এই পৃথিবীতে আমার সন্তানদেরকে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করূন। বিকাশ-০১৯৮৬-৭২০৬৪৪ (পারসোনাল) অগ্রণী ব্যাংক সাভার শাখার সঞ্চয়ী হিসেব নম্বর ০২০০০১২০৯৩৮৮২।
(19)