সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সারাদেশের মতো সাতক্ষীরাতেও চলছে অঘোষিত লকডাউন। সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ঘরে থাকার। তবে কতক্ষণ ঘরে থাকবেন মৎস শিকারীরা। বাড়ির পাশের জলাশয়ে মাছ শিকার করে সময় কাটাচ্ছেন তাদের অনেকে। মিটাচ্ছেন মাছ ধরার সখের নেশা, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখেই।
মঙ্গলবার ও বুধবার তেমনি এক দৃশ্য চোখে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। কলারোয়ার উপজেলার জয়নগর, ধানদিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদের পানিতে ও তালা উপজেলার শাকদহ খালে কাঠফাঁপা রৌদে ছাতি মাথায় দিয়ে বসে মাছ শিকার করছেন কর্মহীন নানা পেশার মানুষ। অবসর সময়টি মাছ ধরে কাটাচ্ছেন তারা।
তাদের কাছ থেকে জানা গেছে- কেও শিক্ষকতা করেন, কেও ব্যাবসায়ি কেও দিনমজুর, কেও আবার পরিবহন চালক। তারা সকল পেশার মানুষ এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই সকলে কোন না কোন ভাবে সময় কাটাচ্ছেন।
তারা বলেন- আমরা সরকারি নির্দেশনা সঠিক ভাবে মানতে পারছি না। তবে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে মাছ শিকার করছি। ঘরে বসে থাকলে মানসিক অশান্তি ও দূশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ছি। তাই দুশ্চিন্তা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দিতে মাছ শিকারে আসা।
জানা গেছে, ঘরে খাবারের স্বল্পতা, কাজ করতে পারছেন না, জমানো টাকাও নাই যে বসে বসে খাবে। এদিকে ধান উঠতে এখনও ২০/২৫দিন সময় লাগবে। সব মিলিয়ে চরম দূশ্চিন্তায় ভুগছেন এ এলাকার দুস্থ শ্রমজীবী মানুষগুলো। সরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো সাহায্য করছে কিন্তু সেগুলো পর্যায়ক্রমে অথবা পর্যাপ্ত নয়।
মৎস্য শিকাররত একজন মাদ্রাসার শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কপোতাক্ষ নদের ওপরে বাড়ি। বাড়িতে সময় আর কাটছে না। টিভি দেখে মোবাইল ব্যবহার করে আর কতক্ষন সময় কাঁটানো যায়?
তাই বাকি সময়টি সখের নেশা মাছ শিকার করে কাটাচ্ছি। সময় পেলে কপোতাক্ষ নদের পানিতে ছিপ-বর্শি নিয়ে মাছ শিকার করি। মনোরম পরিবেশ নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব।’
স্বাভাবিক সময়েও তিনি মাছ ধরতেন। স্কুল ছুটির দিনে বা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সময় পেলেই বসে পড়েন কপোতাক্ষ নদে মাছ শিকারে। মাছ শিকার এক প্রকার নেশা হয়ে গিয়েছে তার।
দলিত ভয়েস//হাবিবা
(4)