পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ অবশেষে গরুই ঠিক করেছে তার প্রকৃত মালিক কে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিক্ষক সুদর্শন মন্ডলের গোয়ালে গিয়ে গরু নিজেই প্রমাণ করে শিক্ষক সুদর্শন তার প্রকৃত মালিক। এর মধ্য দিয়েই অবসান হয় এক গরু নিয়ে দুই শিক্ষকের টানাটানি।
এর আগের দিন বিকালে গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু ও লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন ও কুমখালীর শিক্ষক সুদর্শন মন্ডল এবং খড়িয়ার শিক্ষক দীপক কুমার মন্ডলের উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠকে গরুর প্রকৃত মালিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকালে সুদর্শনের বাড়ী ও কমলেশের গোট এর মধ্যবর্তী কুমখালী বিলের বটতলা নামক স্থানে উদ্ধারকৃত গরুটি ছেড়ে দেওয়া হয়। শালিশী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৮টার মধ্যে গরুটি যেখানে অবস্থান নিবে প্রকৃত মালিক সেই হবে। দিনভর গরুটি থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের নজরদারীতে রাখা হয়। নির্ধারিত সময়ের ঠিক ১ ঘন্টা আগে সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে গরুটি বিল থেকে সরাসরি সুদর্শনের গোয়ালে গিয়ে অবস্থান নেয়। এতে ধরে নেওয়া হয় শিক্ষক সুদর্শন গরুটির প্রকৃত মালিক।
গরুর প্রকৃত মালিক নির্ধারণে সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু, লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, বাইনবাড়িয়া ক্যাম্প ইনচার্জ আহাদ আহমদ ও এএসআই সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মিডিয়া ও গ্রাম পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক সুদর্শন সহ এলাকাবাসী।
(6)