স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে আগামী ১৩ ও ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের
নতুন পে-স্কেলে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন, সরকারি কলেজের শিক্ষকরাও। এদিকে, জ্ঞানের অভাবে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন এমন মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোসহ আরও কয়েকটি দাবিতে, বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
নতুন করে আন্দোলনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে, বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনায় বসেন শিক্ষকরা। পরে ঘোষণা করা হয় নতুন কর্মসূচি।
কর্মবিরতি পালন করেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া, ময়মনসিংহে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে স্থবিরতা দেখা নেমে আসে, শিক্ষা কার্যক্রমে।
এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজ কর্মবিরতী পালন করছেন শিক্ষকরা।
সকালে, খুলনা সরকারি এমএম সিটি কলেজ, আযম খান কমার্স কলেজ, মহিলা কলেজসহ সকল সরকারি কলেজে বন্ধ রাখা হয় ক্লাস। আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, তাদের দাবি মানা না হলে, আরো কঠোর কর্মসূচি দেবেন তারা।
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে ক্লাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতী পালন করেন শিক্ষকরা। কলেজ চত্বরে মানববন্ধনও করেন তারা।
বরিশালে বিভিন্ন সরকারি কলেজগুলোতে ক্লাস পরীক্ষ বন্ধ রেখে কর্মবিরতী পালন করেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের কর্মবিরতীর কারনে কুমিল্লায় হয়নি কোন ক্লাস-পরীক্ষ। এতে, শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে ফিরে যান। শিক্ষকরা জানায়, দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন তারা।
একই দাবিতে, কর্মসূচি পালন করেছেন, রাজবাড়ি, নাটোর, ভোলা, ময়মনসিংহসহ দেশে বেশিরভাগ সরকারি কলেজে কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা।
এদিকে সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
(1)