শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর বাতিল করলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিসিবি ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চয়তার আশ্বাসের পরও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অজিরা। যদিও সফরে না আসার বিষয়ে দু:খ প্রকাশ করেছে তারা। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই সফর বাতিল করেছে ক্রিকেট বোর্ড।
সবকিছু ঠিকঠাকই ছিলো। ২৮ সেপ্টেম্বর অজিদের আসার কথা থাকলেও এর একদিন আগে ঘটে গেলো অনাকাঙ্খিত ঘটনা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের একটি প্রতিবেদনে স্থগিত হয়ে যায় অজিদের বাংলাদেশ সফর। ক্রিকেটারদের ওপর হামলার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে ঐ রিপোর্টে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জরুরি সফরে আসা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে বৈঠকের পর সচিবালয়ে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দেয় বাংলাদেশ।
২৯ সেপ্টেম্বর ফিরে যায় অজিদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল। অস্ট্রেলিয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় সফর বাতিলের সম্ভাবনাই বেশি।
নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল ফিরে যাবার পর দিনই নিজ ক্রিকেটারদের রাজ্য দলে ফেরার নির্দেশ দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এতে করে ক্রমশই ফিকে হতে থাকে সিরিজ মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা।
অবশেষে চূড়ান্ত ঘোষণা আসে ১ অক্টোবর। বাতিল হয়ে যায় বহু প্রতীক্ষার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। আগে থেকেই অবশ্য ক্রিকেটারদেরকে শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিল বিসিবি।
(1)