চুকনগর প্রতিনিধি: আঁঠারমাইলের মাগুরাঘোনায় সেনা সদস্য পরিবারের ৩০বছরের ভোগদখলীয় সম্পত্তি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার কারণ জানতে চাওয়ায় সেনা সদস্যকে ৩ঘন্টা গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর কাকড়পাড়া গ্রামের মৃত কপিল উদ্দীন খার পুত্র শাবান আলী খা তার দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় কাঞ্চনপুর মৌজা যার জেএল নং-৯৯,দাগ নং-৭৪৩,৭৪১,৭৪৪ ও ৭৩৯,জমির পরিমান ১একর ৩শতক সম্পত্তির উপর দোকানঘর নির্মান করার জন্য বালি ফেলছিলেন। এসময় একই গ্রামের মৃত নুর আলী খার পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর খা ও ফাতেমা খাতুন সহ ১০/১২জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বালি ফেলানো বন্ধের নির্দেশ দেয়।
এসময় শাবান আলী খার পুত্র ও যশোর সেনা নিবাসে চাকুরীরত (সিগন্যাল-১) তবিবুর রহমান তার পৈত্রিক দীর্ঘ ৩০ বছরের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে বালি ফেলতে বাঁধা দেয়ার কারণ জানতে চাওয়া মাত্রই প্রতিপক্ষরা দা, কুড়াল, হাতুড়ী ও শাবল সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হয়। নিরুপায় হয়ে সেনা সদস্য ও তার পিতামাতা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে ছুটে বাড়িতে চলে আসে। এসময় প্রতিপক্ষরা বাড়ির চতুরপাশে অবস্থান করে তাদেরকে প্রায় ৩ঘন্টা আটকে রাখে। পরে এলাকাবাসী এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। ইতিপূর্বে সেনা সদস্যের পরিবারের উপর একাধিকবার হামলা করার কারণে সেনাসদস্যের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগও করেছিলেন।
এব্যাপারে সেনা সদস্য তবিবুর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ইতিপূর্বে তারা আমাদের উপর একাধিকবার হামলা করে আমার পিতামাতাকে মেরে আহত করেছে। আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। এনিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশও হয়েছিল। তাদের ভয়ে আমি প্রায় ১বছর ধরে বাড়িতে আসি না। আমি বাড়ি আসলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে অথ্যভাষায় গালিগালাজ করে।
এছাড়া মোতালেব মাষ্টারের নেতৃত্বে একাধিকবার জমিটি মাপামাপি করা হলেও তারা আমাদেরকে ডাকে না। এব্যাপারে মোতালেব মাষ্টারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।
(33)