আসাফুর রহমান কাজল
আজ পর্যন্ত কাউন্সিলরের অফিস নির্মাণ হয়নি। অনেক বাড়ি আজও পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। কাউন্সিলরের বাড়ির পাশেই মাদকের আড়ৎ। এভাবে বলছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়া নির্বাচন পূর্ববর্তী কাউন্সিলরের দেয়া প্রতিশ্রুতির মাত্র ৩০ শতাংশ পুরন হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। আর কাউন্সিলর বলছেন, শতভাগ উন্নয়ন করেছি ওয়ার্ডের। যদিও নতুন করে কিছু কাজের জায়গা তৈরি হয়েছে।
জানাযায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ৩নং ওয়ার্ডটি ভৈরব নদ, বিল ডাকাতিয়া, কেদারনাথ প্রধান সড়ক এবং পুরাতন সাতক্ষীরা সড়কের মধ্যবর্তী এলাকা। এ ওয়ার্ডে জনসংখ্যা রয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি। আসন্ন নির্বাচনে ভোটার প্রায় ২০ হাজার। রয়েছে ৫টি ভোট কেন্দ্র। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫টি, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪টি এবং কলেজ রয়েছে ১টি। বিএডিসি, হর্টিকালচার, রেল স্টেশন, দৌলতপুর থানা, সড়ক ও জনপদের অফিস, বিজিএ ভবন, সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্টানগুলো রয়েছে এ ওয়ার্ডে।
৩ নং ওয়ার্ডে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে রয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা এবং বর্তমান কাউন্সিলর আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আছিফুর রশীদ আছিফ, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ হাসান পিকু এবং জাতীয় পার্টির আশরাফুল ইসলাম সেলিম।
দলের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে মাঠে নেমেছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ’র নেতা এবং বর্তমান কাউন্সিলর আলহাজ্ব আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, শতভাগ কাজ হয়েছে এ ওয়ার্ডে। মষক নিধন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং রাস্তা-ঘাটের যথেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে। মাদক অনেকাংশ নিমূর্ল হয়েছে। ছোট ছোট কিছু বাইলেন হয়নি। অনেক বাড়ী বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। এছাড়া গোরস্থানের বাউন্ডারী এবং মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। আমি আমৃত জনগণের পাশে থাকতে চাই।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ’র সভাপতি আছিফুর রশীদ আছিফ জানান, ছাত্র জীবন থেকে আজ পর্যন্ত মাঠে-ময়দানে রাজনীতি করছি। দল এবার আমাকে সমর্থন করবে বলে আমি মনে করি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রয়োজন। গত নির্বাচনে আমি সিনিয়র নেতাদের কথা রেখেছি। এবার তারা নিশ্চয় আমার কথা নিয়ে চিন্তা করবে। বর্তমান কাউন্সিলর তার প্রতিশ্রতির মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ করেছে। এছাড়া এ ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া, পালপাড়া, পশ্চিমপাড়ার রাস্তা, ড্রেণের উন্নয়ন করা প্রয়োজন। আজ পর্যন্ত একটি ওয়ার্ড অফিস এবং কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক হয়নি এখানে।
আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদ হাসান পিকু জানান, গতবার বর্তমান কাউন্সিলরের আশ্বাস এবং অনুরোধে ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সে কথা রাখছেন না। তিনি আজ পর্যন্ত ওয়ার্ড অফিস করতে পারেনি। মাদকের অগ্রাসন এখানে ভয়াবহ। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া কিছু হয়েছে এখানে। কিন্তু কাউন্সিলরের কোন কাজ হয়নি এবং তার বাড়ির পাশেই মাদকের আড়ৎ। আমি জয়ী হলে সামাজিক সাম্যতা রক্ষা করে ন্যায় বিচারকে প্রাধান্য দিতে চাই।
পার্টি এবার তাকে পূর্ণ সমর্থন দিবে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির আশরাফুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, বর্ষায় এ ওয়ার্ডের রাস্তার হাটু পানি থাকে। হাসান খান রোডে ৬ মাসই জলাবদ্ধতা থাকে। মশার উপদ্রপ, মাদক বিক্রেতা এবং সেবীদের উৎপাত অনেক। জনবিচ্ছিন্ন কাউন্সিলর এবং তার অফিস। স্থানীয় মানুষের সমস্যা দিন দিন জটিল হচ্ছে। কোন জগড়া, বিবাদ বর্তমান কাউন্সিলর মেটায় না বা সেই শালিসে একটু বসেই সটকে পড়ে। ন্যায় বিচার করলে তার ভোট কমতে পারে, সেই ভয়ে। এলাকায় কাউন্সিলরের প্রতিশ্রুত ৭০ শতাংশই হয়নি। গতবার তিনি বলেছিলেন, আর নির্বাচন করবেন না। তবে শুনছি, এবারও তিনি নির্বাচন করবেন। এবার জনগণ উচিত জবাব দিয়ে দেবে।
সৌজন্যে দৈনিক খুলনা
(13)