এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে জাতীয় পতাকা হাতে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্জন গোটা জাতির অর্জন। এটা কোন দলের একক অর্জন নয়। তাই সকলকে দলীয় সংকীর্ণতার উদ্ধে উঠে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর অনুরোধ করছি। শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত ৮টি রুটে বিভক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদসদের নেতৃত্বে ১৪ দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা এসব রুটে দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মধ্যে সংসদ সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, জাহিদ আহসান রাসেল ও ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর নেতৃত্বে বিমানবন্দর হতে খিলক্ষেত, রাশেদ খান মেনন, একেএম রহমত উল্লাহ ও সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে খিলক্ষেত হতে কুড়িল ফ্লাইওভার, হাবিবুর রহমান মোল্লাও সানজিদা খানমের নেতৃত্বে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে রেডিসন হোটেল, কামাল আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বে রেডিসন হোসেন থেকে কাকলি মোড়, কাকলি মোড় থেকে জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত সহযোগী সংগঠন, জাহাঙ্গীর গেট থেকে র্যাংগস ভবন পর্যন্ত জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও হাজী মো: সেলিম এবং র্যাংগস ভবন থেকে গণভবন পর্যন্ত ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে স্ব স্ব এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অবস্থান নেবেন। এছাড়া ১৪ দল ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংৃগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্পটে দাঁড়াবেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় অসামান্য অবদান এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে ব্যাপক সফলতা অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দু’টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। দেশের জন্য এ বিশাল অর্জন বয়ে আনায় শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা ১৪ দল মনে করি, এই সংবর্ধনায় জনতার ঢল নামবে। এটা হবে আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করবো, ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে- ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে আসুন সবাই একত্রিত হয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা এবং অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রীর এ অর্জন দেশ ও জাতির জন্য গৌরবের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধরিত্রী কন্যা আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর হলেও তারা এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছে না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশগুলোকে সাথে নিয়ে এই দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমরা জনতার ঢল নামিয়ে বিএনপি জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে চাই। এ সময় তিনি দল মত নির্বিশেষে সকলকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সাথে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি কর্মী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, নারী সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন এওয়ার্ড পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হবে।-এবিএন
(0)