২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রে সকাল পৌনে ৯টা। ২০ হাজার গ্যালন জেট ফুয়েল নিয়ে পেন্টাগনের টুইন টাওয়ারের ১১০ তলার ভবনের ৮০ তলায় বিধ্বস্ত হয়, একটি বোয়িং বিমান। ১৮ মিনিট পর আঘাত হানে আরেকটি বিমান। ইতিহাসের ভয়াবহতম সন্ত্রাসী হামলার কবলে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
মাত্র দুঘণ্টায় ধুলোর সাথে মিশে যায় মার্কিনীদের গর্বের স্থাপনা। প্রাণ যায় প্রায় তিন হাজার মানুষের। এদের মধ্যে ছিলেন ছয় বাংলাদেশিও।
.
তবে, এই সন্ত্রাসী হামলা বদলে দিয়েছে, বিশ্বের পরবর্তী চালচিত্র। টুইন টাওয়ার হামলার মূল হোতা হিসেবে পরিচিত আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরার নামে পৃথিবীর নানা প্রান্তে সামরিক অভিযান চালায়, যুক্তরাষ্ট্র। এতে ধ্বংস্তুপে রূপ নেয় আফগানিস্তান। আর গণতন্ত্র ফেরানোর নামে ইরাকে অভিযান চালিয়ে দেশটিকে পরিণত করে মৃত্যুকূপে। যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত এ সব সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে, প্রাণ হারান লাখো মানুষ।
নাইন ইলেভেনের ঘটনায় পুরো মুসলিম বিশ্বকেই ফেলে দেয়, ভাবমূর্তি সংকটে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৬ লাখ মুসলিমের মধ্যে ৫০ ভাগই নাইন ইলেভেনের পর কোন না কোনভাবে বৈষম্য আর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। যা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরবর্তীতে তৈরি হয়েছে, বেশ কিছু সিনেমা।
(8)