রবিবার বিকেলে তিনি আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে যান বলে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জজকোর্ট হাজতখানার এসআই মোফাখখর।
চাঁদার দাবিতে খুনে সহায়তার অভিযোগে কাফরুল থানার সাবেক দুই উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান ও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে রবিবারই অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান রবিবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে শুনানিতে তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মামলার ভিকটিম ফারুক হোসেন ঠিকাদারির কাজ করতেন। আসামিরা ফারুক হোসেনের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ফারুককে ওয়ারেন্ট আছে বলে উত্তর কাফরুল থেকে এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স বাবু কাফরুল থানায় নিয়ে আসেন। থানায় চাঁদার টাকার জন্য তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। মামলার বাদী পারভীন হক খবর পেয়ে ভাইকে থানায় দেখতে গিয়ে তার চিৎকার শুনতে পান। ভিকটিম ফারুক পারভীন হককে বলেন, তাদের টাকা দিয়ে দাও। তা না হলে তারা আমাকে মেরে ফেলবে। তার কথা শুনে আসামিদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
পরে ভিকটিম ফারুক হোসেনকে অন্য মামলায় রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শরীরের অবস্থা দেখে কারাগারে পাঠান। ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাগারে মারা যান।
ওই ঘটনায় পারভীন হক ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. লতিফ, এসআই আফাজ উদ্দিন, এসআই নুরুজ্জামান, এসআই রেজাউল করিম ও সোর্স বাবু ওরফে রতনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ৬ নভেম্বর তদন্তপূর্বক মামলাটি কাফরুল থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
২০১৫ সালের ১ মার্চ সিআইডির পরিদর্শক মাজাহারুল হক কাফরুল থানার সাবেক এসআই নুরুজ্জামান, এসআই মো. রেজাউল করিম ও সোর্স বাবু ওরফে রতনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অপরদিকে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. লতিফ ও এসআই আফাজ উদ্দিনকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন।-দ্য রিপোর্ট
(2)