পার্ক-উদ্যান নির্মাণ ও বনায়ন সৃষ্টি, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিশেষ ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ড্রেন পরিস্কার, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বৃক্ষ পরিচর্যা ও সংরক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপদ স্বাস্থ্যকর খুলনা, সুলভ মূল্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা, সূর্যোদয়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, মাদকমুক্ত নগর গড়ে তোলা, সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, পথচারী বান্ধব ফুটপাত, মানবিক উন্নয়নের খুলনা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান উপযোগী নগরী, সিভিক সেন্টার গড়ে তোলা সহ ৪০ দফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের শহীদ শেখ আবু নাসের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। থাকছে স্মার্ট ও ডিজিটাল খুলনা, অনুদান তহবিল চালু, মিডিয়া সেন্টার চালু ও সেরা সংবাদ পুরষ্কার প্রবর্তন, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন, ঊনিশ. মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য প্রতি বছর প্রতিযোগিতার আয়োজন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কাজি আমিনুল হক, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারি, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু ও মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, নির্বাচনের সমন্বয়ক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু ও মো. আশরাফুল ইসলাম, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, প্রকৌ. প্রেমকুমার, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কুয়েটের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান মিয়া, তসলিম আহমেদ আশা, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
এ সময়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিক ও নগরবাসির কাছে আবেদন রেখে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমাকে আরেকটি বার সুযোগ দিন আমি সকল প্রকল্প করে খুলনাকে মানবিক নগরীতে পরিণত করবো। আমি আগামী প্রজন্মের জন্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান উপযোগী নগরী গড়ে তুলবো। খুলনায় কোন মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ থাকতে পারবে না। এ শহরের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে, ইনশাল্লাহ। এ সব কাজ সম্পন্ন করতে হলে সাংবাদিক সহ নগরবাসির সার্বিক সহযোগিতা চাই। সাংবাদিক ও নগরবাসির সম্পূর্ণ সহযোগিতা পেলে খুলনাকে ঢেলে সাজাতে কোন অসুবিধা হবে না। তাই আসুন সবাই মিলে খুলনাকে আধুনিক স্মাট সিটি হিসেবে গড়ে তুলি। এ সময়ে তিনি আরো বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে গত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন।
এরমধ্যে ১৫ শ’ কোটি টাকার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং বাকি এক হাজার কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। ২০১৮ সালে যে ইশতেহার দেয়া হয়েছিলো তার অনেক কাজই শেষ হয়েছে। করোনার কারণে দুই বছর অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। পরে তিনি ৪০ দফা ইশতেহার উপস্থাপন করেন। ইশতেহার সমুহ- এক. পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও পরিবেশবান্ধব খুলনা, দুই. পার্ক-উদ্যান নির্মাণ ও বনায়ন সৃষ্টি, তিন. জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিশেষ ব্যবস্থা, চার. স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ড্রেন পরিস্কার, পাঁচ. আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ছয়. বৃক্ষ পরিচর্যা ও সংরক্সণ, সাত. স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপদ স্বাস্থ্যকর খুলনা, আট. সুলভ মূল্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা, নয়.সূর্যোদয়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, দশ. মাদকমুক্ত নগর গড়ে তোলা, এগার. সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, বার. পথচারী বান্ধব ফুটপাত, তের. মানবিক উন্নয়নের খুলনা, চৌদ্দ. বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান উপযোগী নগরী, পনের. সিভিক সেন্টার গড়ে তোলা, ষোল. অনুদান তহবিল চালু, সতের. মিডিয়া সেন্টার চালু ও সেরা সংবাদ পুরষ্কার প্রবর্তন, আঠার. কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন, ঊনিশ. মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য প্রতি বছর প্রতিযোগিতার আয়োজন, কুড়ি. স্মার্ট ও ডিজিটাল খুলনা, একুশ. নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানচিত্র প্রদর্শন, বাইশ. অংশগ্রহণমূলক ও সুশাসিত খুলনা, তেইশ. ওয়অন স্টপ ক্রাইসিস মিটিগেশন সেল স্থাপন, চব্বিশ. হটলাইন ও নগর তথ্যকেন্দ্র চালু, পঁিচশ. পরিকল্পনা প্রণয়নে পরামর্শক কমিটি গঠন, ছাব্বিশ. সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটানো, সাতাশ. জলাশয় ও পুকুর গুলোর সংরক্ষণ, আঠাশ. শিশুদের সাঁতার শেখানোর বিশেষ উদ্যোগ, ঊনত্রিশ. নগরীর বাজারগুলোর আধুনিকায়ন, ত্রিশ. হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে সেবার মান বৃদ্ধি, একত্রিশ. মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে রাস্তার নামকরণ, বত্রিশ. বধ্যভূমিগুলোর স্মৃতি সংরক্ষণ, তেত্রিশ. যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, চৌত্রিশ. শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, পয়ত্রিশ. নারী উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা প্রদান, ছত্রিশ. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ, সাইত্রিশ. ওয়াসা, কেডিএ, রেওয়ে, টেলি কমিউনিকেশন ও বিদ্যুৎ পরিসেবা উন্নয়ন, আটত্রিশ. কেসিসিতে স্বচছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ঊনচল্লিশ. উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে বুলেটি প্রকাশ এবং চল্লিশ. খুলনা মহানগরীর সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ সহ ৪০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তবে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সকলের সহযোগিতা থাকলে এই ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব বলেছেন নাগরিক নেতারা।
(7)