ঢাকা: নীল আকাশের বুকে যখন সাদা মেঘের খেলা চলছে ঠিক তখনই শরৎ তার আর্শীবাদী বার্তা নিয়ে হাজির। মাঠের সাদা কাশফুলগুলোও যেন নেচে উঠছে সেই আনন্দে। রক্তলাল জবা ফুল কুয়াশার প্রথম শিশিরে স্নান সেরে তৈরি হচ্ছে অন্নপূর্ণা দেবীদুর্গার পূজার আসর সাজাতে। বাদ যাচ্ছে না শিউলি ফুলও। দেবীদুর্গাকে স্বাগত জানাতে শুধু প্রকৃতি সাজেনি, সাজ রব পড়েছে তরুণ তরুণীর মাঝেও। পূজার এ আনন্দকে আরও আন্দোলিত করতেই যেন সব প্রস্তুতি।
পূজার এ আনন্দের বন্যা এক নাগাড়ে চলতে থাকবে টানা পাঁচদিন। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমীর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উৎসব। মহালয়ার মাধ্যমে এর প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে তারা। তবে নিজেদের তারুণ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সপ্তমীর সাজসজ্জা দিয়ে। খুব ভোরে দেবী প্রতিমার অঞ্জলি দিয়ে উৎসবের কার্যক্রম শুরু করে। এ সময়ে শাড়িটাকেই বেশি পছন্দ সবার। লাল পাড়ের সাদা সিল্ক অনেকেরই অতিরিক্ত পছন্দ। ষষ্ঠীটা সবাই তাঁতের শাড়ি বা প্রিন্টের শাড়িতে পার করে দিলেও সপ্তমী অষ্টমী আর নবমীতে সবাই একটু স্নিগ্ধ আর হালকা সাজেই সাজতে চায়। ছেলেদের থাকে যথারীতি পাঞ্জাবি আর ধুতি। তবে কেউ কেউ পোশাকেও নিজেকে সাজান। এ সময় পোশাক হবে হালকা রঙের। সন্ধ্যাতে চাই একটু ভারী সাজ।
সব সাজের মূল ভিত্তি হয়ে থাকবে আপনার নিজস্ব সৌন্দর্য। চুল, ত্বক, হাত-পায়ের থাকা চাই উৎসবী সাজ। পূজার বাকি মাত্র কটা দিন। তাই এখন থেকেই শুরু হোক নিজের পরিচর্যা।
ঠিক এই সময়টাতে সৌন্দর্য সচেতন মেয়েরা তাদের চুলের যত্নটি সেরে নিতে পারেন। দিতে পারেন পছন্দের কোনো কাট, সঙ্গে নিউট্রিশন ট্রিটমেন্টটা করিয়ে নিলে চুল হবে ঝলমলে আর আকর্ষণীয়।
যারা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন তাদের কথা আলাদা। কিন্ত যাদের দুয়েক মাসেও পার্লারে একবার যাওয়া হয় না তারা অবশ্যই ফেসিয়ালটা করে নিন। পার্লারে ফেসিয়াল করলেও বাসায় এসে প্রতিদিনই ত্বকের পুষ্টি যোগাতে নানা ধরনের ফ্রুট মাস্ক বা হারবাল উপটান ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে। তবে অবশ্যই ত্বক উপযোগী ক্রিম ব্যবহার করাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শীত আর গরমের টানাটানিতে আপনার ত্বকই পড়েছে টানাপোড়েনে। এসময় ত্বকের দরকার সঠিক আদ্রতা বজায় রাখা।
হাত পায়ের যত্নে পেডিকিওর মেনিকিওরটা বাসায় নিজে নিজেও করতে পারেন। যারা আরও নিখুত ভাবে করতে চান তারা পার্লারে গিয়ে করে আসতে পারেন।
রূপ সচেতনতায় ছেলেরাও বা পিছিয়ে থাকবে কেন? সচেতন ছেলেরা তাদের ত্বকের যত্নে নিয়মিত ফেসিয়াল করতে ভুলে যান না। তবে নিতান্তই যারা এ ব্যাপারে উদাসীন, তারাও চাই উৎসবের এই দিনে নিজেকে একটু সুন্দর দেখাক। তাই আর দেরি না করে ফেসিয়ালটা সেরে নিতে পারেন। সারাদিন বাইরে বাইরে ঘুরতে ত্বকে মেখে নিন সানস্ক্রিন। রোদে পোড়া ভাব আসবে না।
চুলের কাটটা এবার পূজায় হোক না একটু আলাদা। ঠিকমতো শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং টা করিয়ে নিলে ঝলকানি দেবে আপনার চুলও। শুধু ত্বক চুল নয় হাত পায়েরও থাকা চাই যত্ন। রুচিশীল ব্যক্তিত্ব প্রকাশে এগুলোর ভূমিকা অনন্য।
(5)