রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের হোসনি দালানের পাশে আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলায় আহত জামাল উদ্দিন (৫০) অবশেষে মারাই গেলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি পেশায় একজন ফেরিওয়ালা ছিলেন।
গত ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার দিকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের হোসনি দালানের পাশে আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেইদিনই সাজ্জাদ হোসেন সানজু একজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়।
আহতের মধ্যে ৭০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং ৩২ জনকে মিটফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে ঢাকা মেডিকেলে আসা ৭০ জনের মধ্যে নয় জনকে ভর্তি করানো হয়েছে আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়। মূলত তারা বোমার স্প্লিন্টারে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ এখানে জড়ো হয়েছিলেন। হঠাৎ করে পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বহু মানুষ রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ঘটনার সময় উপস্থিত লোকজন জানান, তারা যখন দুলদুল ঘোড়ার পা ধুইয়ে দিচ্ছিলেন তখন হঠাৎ করে একটি টিউবলাইট ভেঙে পড়ে। এরপরই চার থেকে পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
(3)