উপকরনঃ (মাঝারী আকৃতির ১০/১২ টা পিঠার জন্য)
১। আতপ চাল গুড়া – ৮৫০ গ্রাম চালের
২। সেদ্ধ চাউলের গুড়া – ১৫০ গ্রাম চালের (পিঠা নরম হওয়ার জন্য)
৩। খেজুরের গুড় – ৭৫০ গ্রাম
৪। দুধ – ১ লিটার
৬। নারকেল কোরানো – ১ টা
৭। লবণ – এক চিমটি
৮। পাতলা নরম কাপড় – ১/২ মিটার, চৌকো করে দুই টুকরো করে কাটা
৯। ছোট্ট ঢাকনা – ২ টা
১০। পিঠা ভাপানোর জন্য – ঢাকনা সহ ছোট এনামেলের কলস অথবা ভাপা পিঠার মাটির হাড়ি
১১। বাশের চালনি – ১ টা
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১। দুধ জ্বাল দিয়ে ক্ষীরের মত ঘন এবং শক্ত করতে হবে (প্রায় দুই ঘন্টা সময় ধরে)
২। উভয় প্রকার চালের গুড়া মিশিয়ে লবণ এবং অল্প অল্প পানি দিয়ে ঝরঝরে করে ভাল ভাবে মাখাতে হবে যেন দলা পাকিয়ে না যায়, ঝরঝরে হতে হবে। বাশের চালনিতে হাত দিয়ে ঘষে ঘষে চালতে হবে। ঝরঝরে মোটা সুজির দানার মত বের হবে।
৩। হাড়ি বা কলসে অর্ধেক পরিমান পানি ভরে জ্বাল দিয়ে পানি ফুটে ভাপ ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৪। ছোট্ট ঢাকনায় চালের গুড়ি বিছিয়ে দিতে হবে যেন বেশি পাতলা বা বেশি মোটা স্তর না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৫।এর উপরে ছোট স্লাইস করে কাটা গুড়, কোরানো নারকেল, এবং দুধের ক্ষীর স্তরে স্তরে বিছাতে হবে। চালের গুড়ি, গুড়, নারকেল, ক্ষীর সব মিলিয়ে দুই বার স্তরের পুনরাবৃত্তি করি। সবার উপরে চালের গুড়ি দিয়ে একটু উচু করে হাতে আলতো করে চেপে ভাপা পিঠার আকার তৈরি করে নেই।
৬। এবার ঢাকনাটা ভেজা পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে গরম পানির ডেকচির উপর উপুর করে বসিয়ে দেই। এবার ঢাকনাটা আস্তে করে সরিয়ে নেই। এখানে লক্ষ রাখি যেন পিঠা ভেঙ্গে না যায়।
৭। কাপড়ের প্রান্ত গুলি মুড়ে এক জায়গায় করে বড় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই।
৮। ৫/৭ মিনিট ভাপে সেদ্ধ হলে ঢাকনা সরিয়ে আঙ্গুল দিয়ে চেপে দেখতে হবে নরম হয়েছে কি না।
৯। নরম হলে বুঝতে হবে পিঠা পরিবেশনের জন্য রেডি।
১০। গরম গরম পরিবেশন করা যায় এবং বাসি পিঠা সকালে গরম দুধে ভিজিয়ে খেতেও ভাল লাগে।
বিঃদ্রঃ যে ঢাকনায় করে পিঠা তৈরী হবে সে গুলি প্রতি বার পরিস্কার করে
শুকিয়ে নিতে হবে এবং দুই একটা পিঠা বানিয়ে কাপড় গুলি ধুয়ে পানি চিপে ঝেরে নিতে হবে।
(26)