বাকিরা দেশের বিভিন্নস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। বঙ্গবন্ধু সেতুর দুর্ঘটনায় পুলিশ, দমকল বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকরা আহত এবং তাদের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিত্যদিনই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলেও শনিবার সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ ঘনকুয়াশা এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানো বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৫ সালে সাড়ে ৬ হাজার সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৬৪২জন নিহত ২১৮৫৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় ১ হাজারেরও বেশি বেড়েছে। সমিতি তাদের উপর এক হিসাবে দেখিয়েছে, গত ৫ বছরে ২৯ হাজার দুর্ঘটনায় ৩৭৫৩৭ জন নিহত এবং ৯২০৭৬ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্বব্যাংকের জরিপ রিপোর্ট অবশ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে এই সংখ্যা প্রতি বছর গড়ে ২০ হাজার।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখা বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করেছেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক এবং সড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক। সড়ক দুর্ঘটনারোধে করণীয় সম্পর্কে বলেছেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, গাড়ির ফিটনেস, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবস্থা ত্রু টিহীন এবং স্বচ্ছতা পূর্ণ করাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখনই জরুরি। এটা কোনো মহলের চাপে বন্ধ করলে সড়ক দুর্ঘটনা সীমিত করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।
(4)