ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও কয়েকজন। এর মধ্যে রয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। তার স্ত্রী জানান, স্বামী সুস্থ হবার পর মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ঘটনা সোমবারের। গুলশানের ৭৪ নাম্বার রোডে অস্বাভাবিক গতিতে দুটি রিকশাকে চাপা দেয় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। এ সময় তার সাথে গাড়িতে ছিলো আরো দুইজন। সবার বয়সই ১৮ বছরের নিচে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন, হাকিম নামের রিকশাচালক ও রফিন নামের গ্রামীন ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।
গণমাধ্যমে খবরটি তেমন করে না আসলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ঘটনার সময়ের ছবি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। জানা যায়, কিশোর গাড়ি চালক ফারিজ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবালের ভাই জাহিদুর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর পর উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের আচরণ ও নিরাপদে ফারিজকে সরিয়ে নেয়া নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন অনেকেই।
কি হলো সেই ঘটনায়, জানতে গুলশান থানায় ঢোকার আগেই বাইরে চোখে পড়লো পর্দা দিয়ে ঢাকা টয়োটা গাড়িটি। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৮৯-৭৬। বিষয়টি নিয়ে আপস হয়ে গেছে এমন তথ্য দিলেও আপসনামা দেখাতে রাজি নন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিরাজুল ইসলাম। কিছু মিডিয়া সামন্য এ বিষয়টি নিয়ে শুধুই বাড়াবাড়ি করছে বলেও মন্তব্য তার। যদিও ক্যামেরার সামনে কিছু বলেননি তিনি।
আহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে, জানা যায়, রিকশাচালক হাকিমকে প্রথমিক চিকিৎসার পর গাইবান্ধা নেয়া হয়েছে। আর গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকের স্ত্রী জানান, স্বামী সুস্থ হবার পর মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
এদিকে, ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে গুলশানের ৫৩ নম্বর রোডে এইচ বি এম জাহিদুর রহমানের বাসায় গেলে এ নামে কেউ থাকে না বলে জানায় নিরাপত্তারক্ষীরা।-চ্যানেল২৪
(8)