বুধবার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে শিশু সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর লিটনকে ভোরের দিকে গাইবান্ধা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে লিটনকে আদালতে তোলা হয়। তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। লিটনের জামিন আবেদন করে তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষ দুটি আবেদনই নামঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে আদালতে নেয়ার সময় লিটনের সমর্থক আদালত চত্বরে বিক্ষোভের চেষ্টা করে। লিটন সমর্থকদের বিক্ষোভ দমাতে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ে পুলিশ।
লিটনকে নেয়ার আগেই আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়। প্রস্তুত রাখা হয় এপিসি। এরমধ্যেই লিটনের কর্মী-সমর্থকরা আদালত এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে। দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় প্রায় আধাঘন্টা গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
লিটনকে আত্মসমর্পণে সময় দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বুধবার স্থগিত করার পর তাকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা শুরু হয়। ২ অক্টোবর গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি লিটনের গুলিতে নয় বছর বয়সী শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভ আহত হয়। সৌরভের বাবা সাজু মিয়া পরদিন লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
(0)