কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কয়রায় মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার দক্ষিন বেদকাশি গ্রামের দয়াল সরকারের পুত্র ও দক্ষিন বেদকাশি ইউনিয়ন যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি বিপুল কুমার সরকার। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, গত ২০২২ সালের ১৪ জুন রাত্রে কয়রা উপজেলার দক্ষিন বেদকাশি গ্রামের বেড়িবাধের পুর্বপাশ্বে ১ টি বন্যশুকর প্রবেশ করে। আমার মাতা নমিতা সরকার ঐ রাত্রে মৎস্য ঘেরে আটন ঝাড়ার জন্য যাওয়ার পতিমধ্যে বন্যশুকরটি তার পায়ে কামড় দিয়ে আহত করে। তার চিৎিকারে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে আমি আমার মাতা নমিতা সরকারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় ।
এ ঘটনায় এলাকায় আতংক সৃষ্টি হলে স্থানীয় লোকজন বন্যশুকরটি গনপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলে জানতে পারি। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগের কোবাদক স্টেশনের স্টাফরা ১ টি মৃত্যু বন্যশুকর উদ্ধার করে তাদের হেফাজাতে নিয়ে যায়। ঐ ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকলেও পরবর্তিতে আমাকে ও আমার পিতা দয়াল সরকারকে আসামী করে ১ টি বন মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-এফসিআর-৬১-২০২২ তাং-১৪/৬/২০২২। ঐ মামলায় আমরা জামিন প্রাপ্ত হই। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বন বিভাগের কোবাদক স্টেশনের স্টাফরা গত ২৮ আগষ্ট ২০২২ কপোতাক্ষ নদে অভিযানকালে নিষিদ্ধ সময় কাঁকড়া আহরনের অভিযোগে ৪০ কেজি কাঁকড়া সহ উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের আজগার আলী নামের ১ ব্যাক্তিতে আটক করে। ঐ ঘটনার সাথে কোন সম্পৃক্তা না থাকলেও হয়রানীর উদ্দেশ্য আমাকে ৩ নং আসামী করা হয়। আমি উক্ত মামলায় আটক হয়ে ১ সপ্তাহ জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পাই। আমাকে আরও মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হবে বলে আমি আশংকা প্রকাশ করছি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি কার্তিক কুমার বিবেক, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস, দক্ষিন বেদকাশি যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুকুল বিশ্বাস, গোপাল মন্ডল সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
(1)