কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: শান্ত কলারোয়াকে অশান্ত করতে একটি চক্র সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আবারও অশ্লীল ড্যান্স আর জুয়ার আসরের অনুমতি পেতেই জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করেছে। আনন্দ মেলার অনুমতি নিয়ে এই কর্মকান্ড চালানোর পায়তায় করছে চক্রটি। এই মেলার অনুমতি পেলে কলারোয়া আবারও অশান্ত পরিবেশে সৃষ্টি হবে। সামনে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও রমজান মাস। এই মহান মাসে শুরু হতে যাচ্ছে আনন্দ মেলার নামে অশ্লীল ড্যান্স, জুয়ার আসর আর নেশার আড্ডা। সব চেয়ে বড় কথা হলো যারা দেশকে স্বাধীন করে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে তাদের রয়েছে এই মাঠের পাশে গণকরব। আর রয়েছে মাহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ। সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের মাঠে বেড়া দিয়ে আনন্দ মেলার প্যান্ডেল শুরু করায় এখন আর কমলমতি শিশুরা মাঠে খেলতে পারছে না।
এ বিষয়ে কলারোয়া পৌর সভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন-কলারোয়া পৌর এলাকায় হলেও তিনি কিছুই জানেন না। এখানে এধরনের আনন্দ মেলা আসায় শীহদের গণকবর এর পবিত্রা নষ্ট হবে বলে তিনি দাবী করেন।
এলাকাবাসীরা মহান একুশে ফেব্রæয়ারী ও মাহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ এবং গণকবর এর পাশে এধরনের আনন্দ মেলা যাতে না হয় তার জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনা এর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। অন্যদিকে কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বলেন-তিনি শুনেছেন কলারোয়াতে কারা যেন আনন্দ মেলা নিয়ে এসেছে। তিনি জানানে না যে গণকরব ও মহান স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভর মাঠে এই মেলার অনুমতি নেয়া হয়েছে। এই মাঠে আনন্দ মেলা হলে শহীদদের গণকবরের পবিত্রতা নষ্ট হবে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য যতসামান্য ও নামেমাত্র সার্কাসের অন্তরালে গভীর রাতে সেখানে প্রদর্শিত হবে অশ্লীল ড্যান্স, জুয়ার আসর আর নেশার আড্ডা। এছাড়া সেখানে মেয়েদের দিয়ে অর্ধনগ্ন নয় বরং প্রায় উলঙ্গ অশীল ড্যান্স করানো হবে। থাকবে ওয়ানটেনসহ বিভিন্ন নামীয় জুয়ার আসর। বাদ যাচ্ছে না মদ, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ নানান ধরনের নেশার আড্ডাও। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও পাটকেলঘাটার শার্শার কুটিঘাটায় নেয়া কৃষি মেলার নামে অশালিন নৃত্য, ড্যান্স, জুয়া হওয়ায় এলাকাবাসী বিভাগী কমিশনারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। এর মধ্যে কালিগঞ্জ, আশাশুনিতে মেলা বন্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যে সার্কসের আবেদন পত্র জেলা প্রশাসকের দপ্তরে চলে এসেছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসকের অনুমতি পেলেই শুরু হয়ে যাবে সার্কাস খেলার নামে অশালিন ড্যান্স। তার পরে শান্ত কলারোয়ায় শুরু হবে অশান্ত পরিবেশ।
এদিকে মেলার অনুমতি পাওয়ার আগেই কলারোয়ার সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের সরকারি মাঠ দখল করে শুরু হয়েছে প্যান্ডের কাজ। সচেতন সুধি সমাজ এধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডে অনুমতি না দেওয়ার জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
(3)