ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধিঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট)প্রধান ফটক সংলগ্নে কেডিএ’র নকশা বহির্ভূত ভবনে কেডিএ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান পরিচালনা করেন। কেডিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিপংকর পালের নেতৃত্বে একটি টিম কুয়েট প্রধান ফটক সংলগ্নে প্যাসেন্ট নার্সিং হোস কমপ্লেক্রোর নকশা(প্লান) বহিভুত অংশ ভেঙ্গে দেওয়া হয়। তবে অভিযানের সময় শুধুমাত্র চারটি দোকানঘর ভেঙ্গে দেওয়ায় কেডিএ’র ভুমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং অভিযানে অংশ নেওয়া ইমারত পরিদর্শক হাসিব পিয়াস জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালন হয়েছে। বহুতল ভবনের কিছু অংশ কেডিএ’র নকশা(প্লান) অনুযায়ী করা হয়নি এবং বহুতল ভবন নির্মার্ণে কেডিএ’র নির্দেশনা মানা না হওয়ায় ভবনটির পুর্ব পার্শের(গলি রাস্তার) তিনটি কলম ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচিরের দিকে(পশ্চিম অংশে) কিছু অংশ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিমানা থেকে কেডিএ’র নিয়ম না মেনে ভবনের অংশ নিমার্ণ করায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রচিরের মারাক্তক ক্ষতি সাধন হয়েছে(প্রাচির ভেঙ্গে গেছে)। একাধিক বার লিখিত সর্তক করার পরও সমাধান না হওয়ায় এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ বিষয়ে প্যাসেন্ট নার্সিং হোম কমপ্লেক্রোর সত্তাধিকারী ডা. গিরিন্দ্র নাথ কুন্ডু বলেন, কেডিএ’র অনুমোদন সাপেক্ষে প্লান এবং তাদের নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের জন্য একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছিল। হয়তোবা নির্মাণ কাজে সামান্য রেডিয়েশনের কারণে কাহারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্মাানাধিন ভবনটির কিছু অংশ ভেঙ্গে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন বহু ভবন আছে কেডিএ’র কোন অনুমোদন নাই আর নির্দেশনা মানাতো দুরের কথা কিন্তু একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে এভাবে অভিযান সকলে বিষ্মৃত হয়েছে।
কেডিএ’র এ অভিযানে কুয়েট রোর্ডের আরো ৪টি প্রতিষ্ঠান কেডিএ’র অনুমোদন না থাকায় ভেঙ্গে ফেলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণপাশের রাস্তার দক্ষিনের আল আরাফাত মেটাল স্টোর, পলাশ কমিউনিকেশন, এস কে ভিউ টেলিকমসহ চারটি একতলা পাকা দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের কেয়ারটেকার আঃ হালিম জানান, বেলা পৌনে ১টায় হঠাৎ কোন কিছু না বলেই এই রোর্ডের একাধিক নকশা বহিভুত ভবন ছাড়াও সড়কের জায়গার উপর নির্মিত ইমারত না ভেঙ্গে শুধুমাত্র এই দোকান ঘর চারটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক ইলিয়াজ আকন বলেন, ঘটনার সময় আমি বাইরে ছিলাম পুর্ব ঘোষানা ছাড়াই কোন চিঠিপত্র ছাড়াই শুধুমাত্র আমার চারটি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া সম্পুর্ন উদ্দেশ্যমূলক। তিনি বলেন পার্শবর্তি একটি বাড়ীর মালিক মিরাজ দোকানের সামনে ইট রাখাকে কেন্দ্র করে আমার কেয়ারটেকারের সাথে সকালে তর্ক হয়। দুপুর পৌনে ১টায় যখন কুয়েটের প্রধান ফটকের সামনের একটি ভবনের কিছু অংশ ভাঙ্গে এর মধ্যে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে দোকানগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
(6)