মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছাঃ যে কোন মানুষের জীবনে স্মরণীয় মুহূর্ত হলো স্কুল জীবনের স্মৃতি। সমাজে আমরা যে যেখানেই অবস্থান করছি না কেন, যার যত ব্যস্ততা থাকুকনা সময় পেলেই সবার ইচ্ছা করে শৈশবের সেই স্মৃতি বিজড়িত স্কুল জীবনে ফিরে যেতে। নতুন ড্রেস পরা, প্রথম বেঞ্চে বসা কিংবা খেলাধুলা অথবা গান-বাজনা নিয়ে সহপাঠীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, প্রিয় সহপাঠীদের সাথে টিফিন খাওয়া, ছুটির পরে একসাথে দল বেঁধে বাড়িতে ফেরা সহ স্কুল জীবনের এমন স্মৃতি যে কোন মানুষকে শৈশবের সেই দিন গুলিতে ফিরে নিয়ে যায়। মনে করিয়ে দেয় দুঃখ-কষ্টহীন আনন্দ ঘন শৈশবের সেই স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলোর কথা।
আমরা যারা বয়সে অনেক বড় এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অবস্থান করছি ইচ্ছে করলেই আমরা হয়তো স্কুল জীবনে আর ফিরে যেতে পারবো না। কিন্তু ইচ্ছে করলেই বর্তমানে যারা স্কুল জীবনে অবস্থান করছে জীবনের কিছুটা মুহূর্ত আমরা তাদের সঙ্গে কাঁটাতে পারি। তাদের সঙ্গ দিতে পারি, তাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারি, তাদের সঙ্গে গান শুনতে পারি। স্কুল জীবনে ফিরে যেতে না পারলেও স্কুল জীবনের এমন মুহূর্ত গুলোও ব্যস্ততম জীবনের জন্য কমপ্রাপ্তি নয়। এমনি ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে অনেকটা সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে স্কুল জীবনের সেই স্মৃতি বিজড়িত স্মরণীয় মুহূর্তগুলো স্মরণ করার চেষ্টা করেছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম।
তিনি বুধবার সকালে কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের সৃষ্ঠ সমস্যা সমাধানের লক্ষে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি খুব সহজে যাতে নির্র্মাণ সামগ্রী নির্মাণ কাজের স্থলে পৌছানো যায় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিক নির্দেশনা দেন। পরে তিনি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে অনেকটা সময় কাটান। কিছুটা সময় তিনি তাদের সাথে গল্প করেন। নিজের সফলতার গল্প শোনান তাদের। যাতে একজন ইউএনও হয়ে ওঠার পিছনে কি ধরণের প্রস্তুতি, উদ্যোগ, লক্ষ এবং স্বপ্ন থাকার প্রয়োজন তা তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে গল্পাকারে তুলে ধরেন। তাদেরও স্বপ্ন কি? তারা কে কি হতে চাই, এগুলোও তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেন। তারা পড়াশোনা কেমন করছে স্কুল শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সেদিকও জানার চেষ্টা করেন। সর্বপরী সবশেষে প্রাক প্রাইমারীর ছোট্ট ছোট্ট সোনামনীদের কণ্ঠে সুমধুর গান শুনে মুগ্ধ হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইউএনও মমতাজ বেগম বলেন, উন্নত দেশ গঠন এবং উন্নত জীবন গঠনের জন্য লেখাপড়ার কোন বিকল্প নাই। তোমাদের মত কোমলমতি শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিবে। প্রত্যেকে সু-নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্য দিয়ে প্রিয় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবে সামনের দিকে। তিনি প্রত্যেক শিশু শিক্ষার্থীর উন্নত ভবিষ্যত ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
(14)