গতকাল সোমবার টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব এবং সরকারে প্রধান মুখপাত্র ইয়োশিহিদে সুগা সরকারের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
জাপান পুলিশের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কুনিও হত্যার তদন্তের জন্য গতকাল দুপুরে ঢাকায় পৌঁছেছে। প্রতিনিধিদলটির রংপুর যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হচ্ছেন ইয়োশিতাকা ইয়ামাদা, শুয়া মাৎসুমুরা, শিগেতাদা ফুরুগোরি ও নাউকি ইয়োশিকাওয়া।
এ সপ্তাহে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধিদলের ঢাকা আসার কথা রয়েছে। জাপান সরকারের প্রধান মুখপাত্র ইয়োশিহিদে সুগা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এ ধরনের কাপুরুষোচিত আচরণের পুনরাবৃত্তি আর কখনোই হতে দেওয়া উচিত নয়। এ ধরনের ঘটনায় আমি ক্ষুব্ধ।’ তিনি নিহত কুনিও হোশির পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্তের ওপর জোর দেন।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া ঐ বিবৃতির উল্লেখ না করলেও বক্তব্যের ধরণ থেকে বুঝা যায় যে, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জাপান হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদেশী কূটনীতিকরা সরকারের কাছ থেকে একটি পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এই ব্রিফিং সেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উপস্থিত থাকবেন। সেখানে ইতালি ও জাপানি নাগরিক হত্যার পর গোটা পরিস্থিতি, সরকারের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং তদন্তের ফলাফল বিদেশী কূটনীতিকদের জানানো হতে পারে। কোনো নতুন সংকট সৃষ্টি হলে এই বিদেশী কূটনীতিকদের এমন ব্রিফ করার রেওয়াজ রয়েছে।
অপরদিকে, জাপানসহ অনেক দেশ বাংলাদেশে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের আগেই সতর্ক করেছে। এসব সতর্ক বার্তায় হেঁটে কিংবা রিকশা বা সাইকেলের মতো খোলা যানবাহনে চলাচলে বিরত থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গাড়িতে চলাচলে কাচ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশীদের সমাগমস্থল পরিহার করে চলার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।-এবিএন
(0)