একইসাথে চলছে বই বাঁধাই ও পৃষ্ঠাসজ্জার কাজও। রাজনৈতিক অস্থিরতা-সহ নানা কারণে গত তিন বছর ধরে বইয়ের বাজারে বিরাজ করছে মন্দাভাব।
তাই এবার লোকসান পোষানোর আশা, প্রকাশকদের। যদিও কাগজের আমদানি শুল্ক বাড়ায় বইয়ে বাড়তি দাম গুণতে হবে ক্রেতাদের। বাংলাবাজারকে বলা হয় দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর আঁতুড়ঘর। বছরজুড়েই নানা বইয়ের প্রকাশনায় ব্যস্ত থাকেন এখানকার মানুষ।
তবে একুশে বইমেলা ঘিরে এই ব্যস্ততা বাড়ে বহুগুণ। প্রায় সবগুলো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানই মেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশ করেন, নতুন নতুন বই। প্রুফ রিডিং, পৃষ্ঠাসজ্জা, মলাট তৈরি, বই ছাপানো সবই হয় বাংলা বাজারে। তাই এখন দম ফেলার যেন ফুসরত নেই সংশ্লিষ্ট কর্মীদের। বিএনপির টানা অবরোধ ব্লগার হত্যা-সহ নানা ঘটনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে গেলো বছরের বইমেলায়।
যাতে লোকসানের কবলে পড়েন প্রকাশনা শিল্পে জড়িতরা। তাদের আশা এবার ফিরবে ভাগ্যের চাকা। কাগজের আমদানি শুল্ক বাড়ায় এবার প্রভাব পড়বে বইয়ের মূল্যে। আর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্টল ছাড়া, বিদেশি বই বিক্রি ঠেকানোর দাবি জানান লেখকরা।
প্রকাশকরা বলছেন, প্রকাশনার সংখ্যার চেয়ে মানের দিকেই বেশি নজর তাদের। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির তালিকাভুক্ত ১৫৫টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান-সহ মোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠান এবার অংশ নিচ্ছে মেলায়।
(2)