বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে গাইবান্ধায়। জেলায় ঘাঘট নদী বিপদসীমার ৬০ সে. মি. এবং ব্রক্ষপুত্র ৫৪ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৫ দিন থেকে চরম দুর্ভোগে প্রায় দুই লাখ মানুষ।
কুড়িগ্রামের প্লাবিত হয়েছে আরো নতুন এলাকা। নয় উপজেলার ৬৩টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। শুকনো খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলায় পানি বাড়লেও ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমোরে পানি কমেছে।
বগুড়ায় বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের তীব্র সংকট। সারিয়াকান্দি ও ধুনটে দুর্গতদের সহায়তা পৌছায়নি প্রয়োজনীয় ত্রাণ।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপদ সীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে নদী। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বেলকুচি, উল্লাপাড়া, কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালি ও সদর এলাকার অসংখ্য পরবিার বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি সহ শুকনো খাবারের অভাবে রয়েছে। আর ভাঙনের কবলে ভিটে ছাড়া হয়েছে শুধু চৌহালির প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার।
যমুনার বাড়তি পানির প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে টাঙ্গাইল সদর ও ভুয়াপুরে চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। এতে বেশি বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার গরুর খামারিরা।
পানি বাড়ছে ফরিদপুরের পদ্মায়ও। জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর, আলফাডাঙ্গার ১০ ইউনিয়নের মানুষ এখনো পানিবন্দী। সবজি, মরিচ ও ধানের বীজ তলা ডুবে যাওয়া মাথায় হাত উঠেছে কৃষকের। প্রয়োজনীয় ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগও করছেন তারা।
অবনতি হয়েছে যশোরে বন্যা পরিস্থিতিরও। দুই দিন ধরে কপোতাক্ষের পানি বাড়তে থাকা প্রতিনিয়তই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব স্থানে দেখা দিয়েছে গো খাদ্য সংকট।
(1)