শিল্পাঞ্চল খালিশপুরের মিলের শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খুলনার সর্ববৃহৎ কবরস্থানটি রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী আন্দোলনে নেমেছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটি এবং এলাকাবাসী যৌথভাবে এ আন্দোলন করছে। একই সাথে তারা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উক্ত কবরস্থান পরিদর্শনে আসেন কেসিসির মেয়র(ভারপ্রাপ্ত) আনিছুর রহমান বিশ্বাস। এ সময় তিনি মিল কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন। মেয়র বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে খালিশপুর অঞ্চলের সকল পাটকলের প্রকল্প প্রধানদের সাথে কথা বলবেন। এরপরও যদি সুরাহা না হয় তবে তিনি বিজেএমসি’র চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলবেন।
আন্দোলনকারীরা বিগত দিনে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি পেশসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে। ওই স্মারক লিপিতে বলা হয়,খালিশপুর ৭নং ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশ ঘেষা অবস্থিত কবরস্থানটি খুলনা মধ্যে অন্যতম বৃহৎ কবরস্থান। ৫০ দশকে খালিশপুরের পাটকল শ্রমিকদের জন্য বিজেএমসি কর্তৃক কবরস্থানটি গড়ে তোলা হয়। এখানে শুধু মিল শ্রমিক ও তাদের স্বজনদের দাফন করা হয়। কিন্তু তা এখন পরিত্যক্ত কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। একটি কবরস্থানে যা যা প্রয়োজন তার কোন কিছুই এখানে নেই। রেজিষ্টার না থাকার কারণে এখন কেউ মৃত ব্যক্তি আনেন না।একজন গোরখোদক নিয়ে কবরস্থান চলছে। অরক্ষিত কবরস্থানে রাত-দিন বিপদগামী লোকজনের অবাধ বিচরণ। তারা কবরস্থানকে নিরাপদ মনে করে সেখানে বসে মাদক সেবন ও অনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকে। যা কবরস্থানের পবিত্রতা নস্ট করছে। পানি নিস্কাসনের ড্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কবরস্থানটি জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছে। এখানে অনেক মহান পুরুষের কবর রয়েছে।
আন্দোলকারীরা চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য জোর সুপারিশ করেছে। দাবিগুলো হচ্ছে, কবরস্থানের সীমানা প্রচীর নির্মাণ এবং মৃত ব্যক্তির গোসলের জন্য টিউবওয়েলসহ সেড নির্মাণ, পূর্ণাঙ্গ কবরস্থান পরিচালনা ও রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, পানি নিস্কাশনের জন্য বিদ্যামান ড্রেন খুলে দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত গাছ রোপন ও আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সামসুর রহমান, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হিল্টন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রহিমা আক্তার হেনা, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা, আ’লীগ নেতা হাসান হাফিজুর রহমান, শেখ সেলিম আহমেদ, বিএনপি নেতা কাজী আব্দুল লতিফ, জয়নাল আবেদীন ফারাজী, ডাঃ ডি এম মানিক, জামাল হোসেন, সালেহ আহমেদ, হালিম শিকদার, আফতাব উদ্দীন বাদল, হৃদয় হাসান আসমত, জাহিদুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, আঃ রাজ্জাক, রেজওয়ান আহমেদ, নুরু মোহাম্মদ, আবুল হোসেন রাজা, মামুন, আঃ গফুরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
(3)