খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ আনিছুর রহমান বিশ্বাষ বলেছেন, খুলনাকে সুন্দর পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই নগরীর সীমানা বৃদ্ধিরও চেষ্টা চলছে। ‘সিটি ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর এশিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ময়ূর নদীকে ওয়াটার রিজার্ভার হিসেবে গড়ে তোলা এবং সেখানে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘‘খুলনা মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঃ নাগরিক উদ্যোগ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় করণীয়’’ শীর্ষক ‘গণ শুনানী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্যানেল মেয়র রুমা খাতুন ও বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন বেলা’র প্রধান নির্বাহী এ্যাড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে কেসিসি’র কঞ্জারভেন্সী বিভাগের কর্মকান্ড তুলে ধরেন কঞ্জারভেন্সী অফিসার প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা মোঃ শফিকুর রহমান।
সিটি মেয়র আরো বলেন, বর্তমান সরকার খুলনার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়িত হলে খুলনাই হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল। তিনি গণশুনানী অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন নগরবাসীর সুবিধার্থে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ রাতের বেলা করা এবং রাজবাধ এলাকায় পরিবেশ সম্মতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা একটি বাসযোগ্য নান্দনিক নগরী রেখে যেতে চাই। এ জন্য সিটি গভর্ণমেন্টের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নাগরিক ফোরাম-খুলনা মহানগরীর কো-চেয়ারপার্সন শাহিন জামান পন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ্জামান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জাফর ইমাম, সমাজসেবক খালিদ হোসেন, এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, এ্যাড. আ ফ ম মুহাসিন, এ্যাড. দীপক কুমার হুই, মোড়ল নূর মোহাম্মদ, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল প্রমুখ বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন।
(3)