যোগব্যায়াম হলো এমন একটি অনুশীলন যা আধুনিক জীবনের প্রতিকূলতাসমূহ সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য মানসিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য প্রদান করে। এই ব্যায়াম শুধু শারীরিক অনুশীলন নয়, এটি ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে একজন ব্যক্তির মন, সুসাস্থ্য ও সকল অভ্যন্তরীণ শক্তির পুর্ণ বিকাশও ঘটায়।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় খুলনা মহানগরীর সামছুর রহমান রোডে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস চত্ত্বরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস-২০২৩ এর অনুষ্ঠানে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর এ কথা বলেন।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন খুলনার আয়োজনে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন যোগাসন, মুদ্রা, অনুশীলন ও কলাকৌশল প্রদর্শন করা হয়। এই বছর যোগ অনুশীলনের পর্বটি পরিচালনা করেন খুলনার যোগব্যায়াম প্রতিষ্ঠান ইয়োগা ভাইভ এর পরিচালক রাবেয়া খাতুন অর্থি। ৫০মিনিটের এই অনুশীলন পর্বে তিনি ২০টির অধিক যোগাসন অনুশীলন করান। এখানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক অনুশীলন কারী উপস্থিত ছিলেন।
রাবেয়া খাতুন অর্থি জানান, “সর্বাঙ্গীণ সুস্থতার জন্য যোগব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোগব্যায়াম শুধু শারিরীক ব্যায়াম নয়। এটি শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখে। মানুষ এখন করোনা পরবর্তী অসুখ, বিষণ্ণতা ও মানসিক অবসাদে ভুগছেন। এ অবস্থায় যোগব্যায়াম করলে শারীরিক এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪-এ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। যোগব্যায়াম ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন কার্যকলাপ ও কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। এটি বিগত নয় বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে, যার ফলশ্রুতিতে যোগ সারা বিশ্বে বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারি পরবর্তী সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য আন্দোলন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এর পর ২০১৫ সালের ২১ জুন প্রথম গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। এই বছরের যোগ দিবস উদ্যাপনের মূল সুর হলো ‘বসুধৈব কুটুম্বকমের জন্য যোগ’, বা এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্যের অনুরণন’। যা এই বছর ভারতের জি২০-র প্রেসিডেন্সির সঙ্গে গভীরভাবে অনুরণন ঘটায়। যোগব্যায়াম হলো এমন একটি অনুশীলন যা আধুনিক জীবনের প্রতিকূলতাসমূহ সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য মানসিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য প্রদান করে।
(8)