খবর বিজ্ঞপ্তি: ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বৃহত্তর এই খুলনা অঞ্চলে রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল নানা ইতিহাস ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এখানে বিশ্ব ঐতিহ্যের সুন্দরবণ, ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর দিঘী । তাছাড়া এই অঞ্চলে ইংরেজ আমলের রেনী কুটির, রবীন্দ্র নাথের পৈত্রীক ভীটা, যেজন দিবসে মনের হরসে জ্বালায় মোমের বাতি অমর কবিতার শ্রষ্ঠা কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদারের বাড়ি, আচার্য্য প্রভুল্ল চন্দ্র রায়ের পৈত্রিক ভিটা, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের কবর, সূর্য দীঘল বাড়ির উপন্যাস এর লেখক আবু ইসহাক, বেদুঈন সামাদসহ বিভিন্ন কৃতিজনের পৈত্রিক ভিটা অযত্নে অবহেলায় এর অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে, ধ্বংস হচ্ছে। সম্প্রতি বেদখল হচ্ছে মুজগুন্নি এলাকায় ১৮ বিঘার উপর অবস্থিত ছয়শত বছরের পুরাতন খানজাহান আলীর দীঘি। এইসব ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে বললেন খুলনার ঐতিহ্য সংরক্ষণ পর্ষদের সভায় বক্তারা।
বুধবার বিকাল ৫টায় হাজী মহসীন রোডে খুলনার ঐতিহ্য সংরক্ষণ পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংবিধানের কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড: এনায়েত আলী। বিষয় বস্তুর উপর মূল আলোকপাত করেন এ্যাড: কুদরত-ই-খুদা। সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তাগণ খুলনা অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণসহ আগামী প্রজম্মের কাছে তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এগুলো সংরক্ষণে সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় নাগরীকদের এসব স্থাপনা ধরে রাখতে ভূমিকা পালন করতে হবে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন অধ্যক্ষ জাফর ইমাম, এ্যাড: আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনি, অধ্যাপক শেখ সাদী ভূইয়া, নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শীলু, অধ্যাপিকা রমা রহমান, উন্নয়ন কর্মি নাজমুল আলম ডেভিড, শিল্পী বিধান চন্দ্র রায় ও সাইদুর রহমান পিন্টু প্রমুখ। উপস্থিত সকল সদস্যদের প্রস্তাবে এ্যাড: আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চুকে সভাপতি ও সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেনকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠণ করা হয়।
(1)