অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের জেল দিয়েছেন
পলাতক থাকায় বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে মামলা করে দুদক। তবে তা বাতিল চেয়ে করা একটি আবেদন হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকায় নিম্ন আদালতে এই মামলার কোন কার্যক্রম চলেনি। এরপর ২০১২ সালে আদালত বাতিলের ঐ আবেদন খারিজ করে খোকাকে নিম্ন আদালতে আত্নসমর্পনের নির্দেশ দেন।
২০১৪ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন বিশেষ জজ আদালত-৩। মঙ্গলবার এই মামলার রায়ে সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সাথে অবৈধভাবে উপার্জিত ১০ কোটি ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, বিএনপির এই নেতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারিক আদালতে ইচ্ছাকৃতভাবে আত্নসমর্পন করেনি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
একই সাথে খোকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালত তার রায়ে বলেছেন, আত্নসমর্পন বা গ্রেফতারের তারিখ থেকে তার দণ্ডভোগের মেয়াদ গণণা শুরু হবে। সাদেক হোসেন পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
(0)