পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ হারিয়ে যাওয়া এক গরু নিয়ে দুই শিক্ষক টানাটানি করায় বিপাকে রয়েছেন পাইকগাছার থানা পুলিশ ও দুই ইউপি চেয়ারম্যান। এবার দুই শিক্ষকের উপস্থিতিতে শালিসী বৈঠক করে পুলিশের হেফাজতে থাকা গরুর প্রকৃত মালিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য একটি লাল বকনা গরু নিয়ে উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের শিক্ষক দীপক কুমার মন্ডল ও গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুদর্শন মন্ডলের মধ্যে বেশ কিছু দিন যাবৎ বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। দুই শিক্ষক দুজনই দাবী করছে গরু তার। এনিয়ে ইতোমধ্যে একবার শালীস করে একধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও সে সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করার আগেই ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় গরুটি গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে শিক্ষক সুদর্শনের লোকজন কৌশলে সুদর্শনের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে গ্রাম পুলিশ থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে গত কয়েকদিন আগে বাইনবাড়িয়া ক্যাম্প পুলিশ সুদর্শনের বাড়ি গরুটি উদ্ধার করে ক্যাম্পের হেফাজতে নেয়।
এনিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাইনবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের সামনে দুই শিক্ষক ও দুই ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিসী বৈঠক করা হয়। শালিসে বিভিন্ন আলোচনান্তে গরুটির প্রকৃত মালিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশের হেফাজতে থাকা গরুটি শুক্রবার সকাল ৯ টার সময় বিলের মধ্যবর্তী স্থানে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং রাত ৮ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে গোয়ালে গেলে গরুটি শিক্ষক সুদর্শনের আর গোটে গেলে শিক্ষক দীপক কুমারের প্রাপ্য হবে। আর যদি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কোথাও না যায় তাহলে গরুটি পুলিশ ক্যাম্পের অনুকূলে প্রাপ্য হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন, গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আব্দুস সালাম কেরু, ক্যাম্প ইনচার্জ আহাদ আহমদ, এ এস আই সাইফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য এস এম আয়ুব আলী, আক্তার হোসেন গাইন, রমেশ বর্মন, আওয়ামী লীগ নেতা বি এম শফি, আব্দুস সাত্তার, গাউসুল হক ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহবুদ্দীন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
(7)