খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ নগরীর আফিলগেট চেকপোষ্টে পাঁচটি চোরাই গরুসহ ট্রাক ও সংঘবন্ধ চোরচক্রের ৩ সদস্য পুলিশের হাতে আটকের একমাস পর ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে পুলিশ গরুর প্রকৃত মালিকদের নিকট উদ্ধার হওয়া গরু গুলো হস্থান্তর করেছে। আইনি জটিলতা শেষে চুরি যাওয়া গরু পেয়ে আনন্দে আত্মহারা গরুর মালিক কৃষক পরিবার আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
মামলা অভিযোগ সুত্রে ও পুলিশ জানায়, গত ১৯ আগস্ট খানজাহান আলী থানার অন্তরগত আফিলগেট পুলিশ চেকপোষ্টে ৫টি চোরাই গরু একটি ট্রাক সহ চোরচক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে। উদ্ধার হওয়া গরুর মালিক খুজে না পাওয়ায় এ ব্যাপারে এস আই শেখ আনোয়ার বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় ৬জন কে আসামী করে একটি মামলা করেন (মামলা নং-১৪)। গরুর প্রকৃত মালিক না যাওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানায় রক্ষিত থাকা গরু গুলো নিলামের জন্য্য আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু এরই মধ্যে গরুর প্রকৃত মালিকরা খবর পেয়ে খানজাহান আলী থানায় যোগাযোগ করে পরবর্তিতে আইনি জটিলতায় গত ২৯ আগস্ট গরু গুলো ফেরৎ পেতে আদালতে আবেদন করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার রির্পোাট এবং আদালতে শুনানী শেষে আদালত গরু গুলির মালিক নিশ্বিত হয়ে তাদেরকে ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন গরুর প্রকৃত মালিক যশোর চৌগাছার কৃষক হাসানুর রহমান, পার্শবর্তি গ্রামের কৃষক মো. ছানাউলের নিকট হস্তান্তর করেন। থানায় রক্ষিত ৫টি গরু ফেরৎ পেয়ে কৃষক হাসানুর রহমান ও ছানাউলের পরিবার
খানজাহান আলী থানা পুলিশ সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদদ্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য গত ১৯ আগস্ট ট্রাক করে ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আফিলগেট চেকপোষ্টে পুলিশের হাতে চোরচক্রের তিন সদস্য আটক হয়। এ ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় বাগেরহাটের সাহাপুর গ্রামের নুর মোহাম্মাদ মোল্ল্যার পুত্র আব্দুস সালাম মোল্যা(৫০), খুলনার বাদুরগাছা গ্রামের সুলতান মির্জার পুত্র শহিদুল মির্জা(২৭) ও যশোর অভয়নগরের আ. রহিম শেখের পুত্র মো. রাসেল শেখ(২৭), বটিয়াঘাটর লক্ষী খোলা গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ শেখের পুত্র জিয়া শেখ(৪৩), খুলনার বাগমারা গ্রামের মৃত হাকিম শেখের পুত্র কামরুল শেখ ওরফে বাবুল শেখ(৪৬) ও খুলনার তেরখাদা গ্রামের ফুলমিয়া শেখের পুত্র মো. ওবায়দুল শেখ(৩৯) নামে মামলা হয়।
(1)