প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে গলদা চিংড়ি আহরণের ভরা মৌসুম। গলদা চিংড়ি মিষ্টি পানিতে চাষ হয়। সে অনুয়ায়ী অধিকাংশ গলদা চিংড়ি ঘেরে বোরো ধান আবাদ হয়ে থাকে। বর্তমানে বোরো আবাদেও মৌসুম শুরু হয়েছে। ঘেরের পানি অপসারণ করা প্রয়োজন। শীতকালে চিংড়ি তেমন বাড়ে না। চিংড়িকে খাবার দিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কিন্তু বিদেশী বাজারে চিংড়ি রপ্তানীতে কোন বাঁধা নেই। তাছাড়া সরকারও চিংড়ি কেনা বন্ধ করেনি। মাছ কোম্পানী গুলো নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার ইচ্ছার কারণে তারা গলদা চিংড়ি কেনা বন্ধ রেখেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, প্রান্তিক চিংড়ি চাষী, ডিপো মালিক ও আড়তদারসহ এর সাথে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ। অনতিবিলম্বে গলদা চিংড়ি কেনার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলন করা ছাড়া গতি থাকবে না।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সুকলাল সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন, আনোয়ারা মৎস্য আড়ত ও হাশেম আলী পাইকারী কাঁচা বাজারের প্রতিষ্ঠাতা ডুমুরিয়া উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক গাজী হুমায়ূন কবীর বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ডুমুরিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা: গৌর কিশোর রায়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, শেখ মাহবুবুর রহমান, মো: জাহিদ হোসেন, কওসার আলী বিশ্বাস, তৈয়েবুর রহমান, রোকন হোসেন, ফেরদৌস শেখ, আসাদুজ্জামান, ডালিম গাজী প্রমূখ।
প্রসঙ্গত: চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানী মালিকরা এক সিদ্ধন্তে গত ১৫ নভেম্বও থেকে গলদা চিংড়ি কেনা বন্ধ কওে দিয়েছে।
-আব্দুল লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, খুলনা
(5)