চম্পার মৃত্যুর ব্যাপারে তার পিতা আবুল কাসেমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার মেয়ে অত্যন্ত ভাল। সে লেখাপড়া করার পাশাপাশি সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে সেলাই এর কাজ করতো এবং অবসর সময়ে পাশের বাড়ির স্কুল পড়ুয়াদের প্রাইভেট পড়াতো। তার ব্যাপার গ্রামের মানুষের সাথে আলাপ করলে জানতে পারবেন কত ভাল ছিল। গতদিন আমি আমার বড় মেয়ের বাড়ি হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কাজির গ্রামে অবস্থান করছিলাম। সংবাদ পেয়ে বাড়ি এসে এই ঘটনা দেখলাম। তবে চম্পার একজন সহপাঠীর সাথে আলাপকালে সে জানায় সম্প্রতি চম্পার পরিবার তার বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করছিল। চম্পার সারা গায়ে কঠিন চর্মরোগ থাকায় চম্পা বিয়ের ব্যাপারে রাজি ছিল না। সে তার পরিবারকে বলে আমার শরীরে যে রোগ রয়েছে তাতে স্বামীর সাথে ঘর সংসার করা হবে না। তার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে পরিবার বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকে। আমার ধারনা চম্পা রাগান্বিত হয়ে এঘটনা ঘটাতে পারে।
-মোঃ রবিউল ইসলাম, মনিরামপুর, যশোর
(22)