২০১৫ সালে দেশে মোট ঘুষ লেনদেন হয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। আর দুর্নীতিতে শীর্ষে ছিল পাসপোর্ট সেবাখাত। এর পরের অবস্থান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং শিক্ষা খাত।
সেবাখাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০১৫ এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরে টিআইবি। উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা, উচ্চ শিক্ষা বা আধুনিক চিকিৎসা সেবা। এসব পেতে প্রতিবছরই দেশের বাইরে যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি। একাজের শুরুটা হয় পাসপোর্ট করার মধ্য দিয়ে।
আর এই সেবা পেতে পাসপোর্ট কার্যালয় ঘিরে হরহামেশা পাওয়া যায় হয়রানিরসংবাদ। টিআইবি পরিচালিত সেবাখাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০১৫ এর তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে দুর্নীতি আর ঘুষের শিকার সেবাখাতের তালিকায় শীর্ষে পাসপোর্ট। তালিকায় এর পরের দুটি অবস্থান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং শিক্ষা খাত। আর সবচেয়ে বেশি গড় ঘুষ দিতে হয় গ্যাস সেবা পেতে।
জরিপের ফলাফল বলছে, গ্যাস সংযোগের জন্য একেকটি পরিবারকে গড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঘুষ দিতে হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার টাকা। দেখা গেছে ২০১৫ সালে মোট ঘুষের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি, যা একই সময় দেশের মোট জিডিপির শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। সার্বিকভাবে ২০১৫ সালে দুর্নীতির হার ছিলো ৬৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আর ঘুষ না দেওয়ার কারণে সেবা না পাওয়ার আশঙ্কায় প্রায় ৭১ শতাংশ পরিবার।
সবদিক বিবেচনায় সামগ্রিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মন্তব্য করেন টিআইবির ট্রাস্টি চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল। আর সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে অনেকাংশে কমে আসবে দুর্নীতি। সেবাখাতে দুর্নীতি কমাতে টিআইবির পক্ষ থেকে ১১ দফা সুপারিশ করা হয়।
(2)