খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা ভারীবর্ষণে নগরীর ফুলবাড়ীগেট এলাকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুলসহ পার্শবর্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্যাম্পাস তলিয়ে পানি প্রবেশ করেছে শ্রেনী কক্ষে । এছাড়াও সিত্রাংয়ের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতে নগরীর আড়ংঘাটা থানাধিন তেলিগাতী, ল্যাাবরেটরি মোড়, পুরাতন টিটিসি রোড, খানাবাড়ী, মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিকপাড়া, বুচিতলা, রাজ্জাকের মোড়, মহেশ্বরপাশা পালপাড়া, কান্দর, জিকোর মোড়, ঢালীপাড়া এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।
পানিবদ্ধি হয়ে পড়েছে কুয়েট কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, এইচএসটিটিআই, শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, শেখ হাসিনা আইসিটি ভবন, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হাজার হাজার মানুষ । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ীতে ময়লা দূর্গন্ধ পানি প্রবেশ করায় চরম দূভোগে পড়েছে ভুক্তোভোগী মানুষ গুলো। পানি নিষ্কাশন এবং পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিষ্ঠান গুলো বার বার দীর্ঘস্থায়ী জলাবন্ধতার কবলে পড়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে লিখিত ভাবে অবহিত করেও কোন সমাধান না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষা কার্যাক্রম চরম ভাবে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র গুলো বলছে, এই অঞ্চলে পানি নিষ্কাশনের জন্য সুষ্ট ও পরিকল্পিত কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবন্ধতার কবলে পড়তে হয়। পানিবন্ধি হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পার্শবর্তি নিচু অঞ্চলের মানুষরা। গত ২৪ অক্টোবরের প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা ভারীবর্ষণে ফুলবাড়ীগেট সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গভ.ল্যাবরেটরি স্কুল, কুয়েট কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, এইচএসটিটিআই, শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা আইসিটি ভবন, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যাম্পাস পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্যাম্পাসের কোথাও কোথাও ৩ থেকে ৪ ফুট পানি উঠায় শ্রেনী কক্ষ গুলোতে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও সিত্রাংয়ের কারণে ভারীবৃষ্টিপাতে নগরীর আড়ংঘাটা থানাধিন তেলিগাতী, ল্যাাবরেটরি মোড়, পুরাতন টিটিসি রোড, খানাবাড়ী, মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিকপাড়া, বুচিতলা, রাজ্জাকের মোড়, মহেশ্বরপাশা পালপাড়া, কান্দর, জিকোর মোড়, ঢালীপাড়া এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে নিচু এলাকার বসবাসরত মানুষের বাসাবাড়ীতে ময়লা ও দূর্গন্ধ পানি প্রবেশ করায় চরম দূভোগে পড়েছে এই অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, বৃহত্তর এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের বর্তমানে কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন অঞ্চলের পানি এসে এ সকল প্রতিষ্ঠান গুলোতে ঢুকছে। প্রতিষ্ঠান গুলোর ক্যাম্পাস নিচু হওয়ায় এবং পয়.নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবন্ধতার কবলে পড়তে হচ্ছে। আর ভারীবর্ষণ হলে দীর্ঘস্থাীয় পানিবন্ধি হয়ে পড়ছে এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। তারা বলেন, পানি নিষ্কাশন এবং পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য প্রতিষ্ঠান গুলোর পক্ষ থেকে বার বার সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে লিখিত ভাবে অবহিত করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রধানগণ বলছেন কোন প্রকার বৃষ্টি হলেই এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো জলাবন্ধতার কবলে পড়ে এতে করে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যাক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষণার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চরম ভাবে বিঘœ সৃষ্টি হয়। এই অবস্থার উন্নয়নে খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
(76)