এলাকাবাসির লিখিত অভিযোগে প্রকাশ; ডুমুরিয়া উপজেলার আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার পদে কতিপয় ব্যক্তি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহকারি সুপার মোঃ খয়রুল আলমকে নিয়োগের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এতে এলাকাবাসি তাকে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য স্বার্থান্বেষী ও চরিত্রহীন ঐ সহকারি সুপার মোঃ খয়রুল আলমের অযোগ্যতা, অদূরদর্শিতা, অসামাজিকতাসহ আদর্শ পরিপন্থি ব্যক্তি উল্লেখ করে সভাপতি বরাবরে ৭ মার্চ আবেদন করেন। ঐ আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের স্বভাবিক পরিবেশ রক্ষা ও সার্বিক কল্যাণার্থে গত ১২ মার্চ মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভায় লিখিতভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেন। উল্লেখ্য পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ি সুপার পদে খয়রুল আলমের আবেদনসহ তার সাজানো আরও ৩টি আবেদন নিজেই প্রতিষ্ঠানে জমা দেয়। একপর্যায়ে গোপনে একটি ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করে গত ১৩মে ডুমুরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। প্রতিবাদে এলাকাবাসি মাইকিং করে এক সভায় ঐ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে নতুনভাবে প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তাব করেন। ২ জুন মাদরাসা পরিচালনা পরিষদ এক আলোচনা সভায় নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ি ঐ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুনঃ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশে দেখানো হয়; নিয়োগ পরীক্ষায় কেউ কাক্সিক্ষত যোগ্যতা অর্জন না করায় বোর্ড বাতিল করা হয়। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ি পূর্বের পরীক্ষায় অযোগ্যদের মধ্যে আবারও ৩জন সাজানো প্রার্থী দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে উক্ত বিতর্কিত খয়রুল আলমকে নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযোগে স্বাক্ষরকারিদের অনেকেই জানান; শিক্ষা জীবনে ৪টি পরীক্ষায় ২টিতে ৩য় বিভাগ এবং ১ম বার কামিল পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে তিনি বহিস্কৃত হয়েছিলেন। তাছাড়া বর্তমানে তিনি ৩ নং স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছেন। যা আধুনিক শিক্ষিত ও ডিজিটাল সমাজে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে তিনি সম্পূর্ণ বেমানান। এলাকাবাসির অভিযোগটি ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনে আমলে নিলেও তা পদ্ধতিগতভাবে খারিজ না করে কিভাবে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হল তা নিয়ে এলকায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কিন্তু তাও উপেক্ষা করেও বহাল তবিয়তে আলোচিত ঐ খয়রুল আলমকে সুপারের চেয়ারে বসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে খয়রুল আলম বলেন; আমার নিয়োগে র্জারা পরিমাণে ভুল নেই। মাদরাসার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত সুপার বলেন; পরিস্থিতির শিকার হয়ে একজন আলোচিত ব্যক্তিকে বসিয়েছি। এতে এলাকাবাসি আমার উপর প্রচ-ভাবে ক্ষিপ্ত আছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক খলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন; এলাকাবাসি লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আসা উচিৎ ছিল কিন্তু তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে বড় ত্রুটি রয়ে গেছে।
//আঃ লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, খুলনা
(24)