চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে উন্নয়ন বরাদ্দের মাত্র ৭ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৯ শতাংশ। আর এবার এডিপি বাস্তবায়নের এ হার গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গত কয়েক বছরের এডিপি বাস্তবায়নের হার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত অর্থবছরে ৮৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যয় হয়েছিল ৭ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কমে দাঁড়ায় ৭৭ হাজার ৮শ’ ৪১ কোটি টাকা।
আর ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল কিছুটা বেশি। ওই অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ১১ শতাংশ। তার আগের অর্থবছর (২০১২-১৩) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার ছিল ১৩ শতাংশ।
এডিপি বরাদ্দ ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মোট বরাদ্দের প্রায় ৭৩ শতাংশই ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে। এ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অনুকূলে চলতি অর্থবছর উন্নয়ন বরাদ্দের পরিমাণ ৭৩ হাজার ৬শ’ ৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে তারা ব্যয় করতে পেরেছে ৫ হাজার ১শ’ ৫৯ কোটি টাকার মতো।
চলতি অর্থবছরের এডিপিতে মোট প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ২শ’ ১৫। এর বিপরীতে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাস্তবায়ন হয়েছিল ১ শতাংশের কম। আগস্ট শেষে বাস্তবায়ন হার কিছুটা বেড়ে হয় ৩ শতাংশের কাছাকাছি। এ সময় পর্যন্ত ব্যয় হয় ৩ হাজার ৩শ’ ৪৭ কোটি টাকা।
এ বিষয় জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ১ম প্রান্তিকে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার কম হলেও পরবর্তীতে তা ভালো হবে। বড় বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন হার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ফলে অর্থবছর শেষে এডিপি বাস্তবায়ন ভালো হবে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ প্রকল্পই নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। ফলে এডিপি বাস্তবায়নে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।-ব্রেকিংনিউজ
(0)