মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বলেন, চিংড়ি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানীখাত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মৎস্য সম্পদেও গুরুত্ব অপরিসীম। সরকার এ সেক্টরের উন্নয়ের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহনসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। কিন্তু কিছু দুস্কৃতিকারী ব্যক্তি মুনাফা লাভের জন্য চিংড়িতে পুশসহ বিভিন্ন অপকর্ম করছে। ফলে বিদেশে আমাদের ভাবমুর্ত্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যারা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করে বিদেশে রপ্তানি করে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ডুমুরিয়া মৎস্য বিভাগের উদ্দ্যোগে আয়োজিত পুশ বিরোধী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। উপজেলার শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে মাছ ও চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ প্রতিরোধে ডিপো মালিক, আড়তদার, বরফকল খাদ্য ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণের করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হরেন্দ্র নাথ সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর, খুলনা বিভাগীয় মৎস্য উপপরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপপরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি খন্দকার আইনুল ইসলাম, ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইন চার্জ এম মশিউর রহমান ও আড়ংঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ আমীর তৈবুর ইলী। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরোজ কুমার মিস্ত্রী’র পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্যদেন ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ার, মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ, শেখ দিদারুল হোসেন, ডুমুরিয়া প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারী এসএম জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা মৎস্য আড়তের প্রতিষ্ঠাতা গাজী হুমায়ুন করিব বুলু, শাহনেওয়াজ জোয়াদ্দার, সরদার আবু সালেহ, খর্নিয়া মৎস্য আড়তের তরুণ কান্তি দাশ, চিংড়ি চাষী সমিতির সেক্রেটারী স.ম আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ। এসময় পাইকগাছা, রুপসা, কয়রা ও ফুলতলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ এবং আড়ৎদার ও ডিপোমালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ উপিস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি এসময়ে উপজেলার ৫০জন মৎস্যজীবিদের মাঝে ৫টি বেড় জাল বিতরন করেন।