চুকনগর প্রতিনিধিঃ চুকনগরে বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪/১৪৫ধারা জারির পর বাদী নিজেই সেই আদেশ ভঙ্গ বা অমান্য করে নালিশী সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ করছে। বিবাদীগণ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উক্ত নালিশী সম্পত্তিতে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখলেও বাদী এভাবে আদালতের আদেশ অমান্য করার বিবাদীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের আক্কাস বিশ্বাসের পুত্র আব্দুল হান্নান বিশ্বাস এর সাথে একই গ্রামের অশ্বিনী মল্লিকের পুত্র অসীম মল্লিক ও অনাথ মল্লিক এবং গৌর মল্লিকের পুত্র বিভাষ মল্লিক ও স্বপন মল্লিকদের রাস্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রহিয়াছে। একারণে গত ১৪/০২/২১ ইং তারিখে আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে খুলনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শান্তি-শৃংখলা রক্ষার্থে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪/১৪৫ধারা জারির জন্য আবেদন করেন।
আদালত তার আবেদন আমলে নিয়ে নালিশী সম্পত্তির উপর ফৌজদারী কার্যবিধি এর ১৪৫(১) ধারা মতে ২য় পক্ষকে নালিশী জমির দখল বিষয়ে লিখিত বিবৃতি দাখিলের জন্য নির্দেশ এবং সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নালিশী জমিতে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আদেশে এসআই খন্দকার জিয়াউল ইসলাম শান্তি-শৃংখলা রক্ষার্থে বাদী বিবাদী উভয় পক্ষ নালিশী সকল সম্পত্তির উপর নোটিশের মাধ্যমে (এডিএম/খুলনা-৩০১/২০২১ নং স্মারক, ১৫/০২/২০২১ইং তারিখ) স্থিতিশীল অবস্থা বজার রাখার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু বাদী নিজেই আদালতের সেই আদেশ অমান্য করে ১৬/০২/২০২১ ইং তারিখ হতে অদ্যাবধি নালিশী সম্পত্তিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার এসআই খন্দকার জিয়াউল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করার ক্ষমতা বাদী বিবাদী উভয় পক্ষের নেই। যদি কেউ সেই আদেশ অমান্য করে। তাহলে অবশ্যই তাকে আদালতের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। বাদী আব্দুল হান্নান বলেন, আমি আমার জমিতে কাজ করছি। আমার জমিতে কাজ করতে সমস্যা কোথায়? বিবাদী অসীম বিশ্বাস বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাদীর নালিশী সম্পত্তিতে আমরা কোন কাজ করব না।
(19)