

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস, মিডটার্ম, সেমিস্টার এবং ফাইনাল পরীক্ষাও সম্পূর্ণ ভাবে বর্জন করেছেন শিক্ষকরা।
তবে আন্দোলনের কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিত কম। অভিযোগ পাওয়া গেছে আন্দোলনের নামে ছুটি কাটাচ্ছেন জবি শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার থেকে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষকের মধ্যে দশ থেকে পনে জনকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, আমাদের আন্দোলন ন্যায্য। আন্দোলন শুরু হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দাবি মেনে না নেয় এই আন্দোলন লাগাতার চলবে।
শিক্ষকদের উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিদিন তিন শতাধিক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। তবে তাদের অনেকেই প্রশ্নপত্র তৈরি, খাতা মূল্যায়ন ও মডারেশনসহ বিভিন্ন কাজ করে।
এজন্য উপস্থিতি কম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক অভিযোগ করেন, আন্দোলনের নামে অধিকাংশ শিক্ষক ছুটি কাটাচ্ছেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করলে আন্দোলন বিফল হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশন জটের আশংকায় ভূগছেন শিক্ষার্থীরা। মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, চলতি মাসেই তাদের সেমিস্টার ফাইনাল হবার কথা ছিল। না জানি এ সেমিস্টার কবে শেষ হয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, তার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিলো। কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে সে পরীক্ষা দিতে পারে নি। বিষয়টি আমলে নিয়ে সমস্যা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
(0)