মি. নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে তার দল জামায়াতে ইসলামী।
দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান ই-মেইলে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে হরতাল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন।
হত্যা,গণহত্যার অভিযোগের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছিলো যে তার বিরুদ্ধে আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে চারটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর চারটি অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছিলো।
এই রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরেই আপিল করেছিলেন মি. নিজামী।
পরে আপিল বিভাগের এক শুনানিতে বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে তার সাজা কমানোর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বেঞ্চে গত মাসেই মি. নিজামীর আপিল আবেদনের শুনানি ও যুক্তি খণ্ডন শেষ হয়েছিলো।
আপিল শুনানিতে মি. নিজামীর আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল যে রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি।
তাদের দাবি ছিল মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে এসে বুদ্ধিজীবী হত্যার সময় জামায়াত নেতা নিজামী জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংগঠন বা আল-বদর বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেননা।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছিলেন বুদ্ধিজীবী হত্যার সময় মি. নিজামীর হাতেই ছিল আল-বদর বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ।
তাদের মূল বক্তব্য ছিল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকা কিংবা উস্কানি দেয়া দুটো একই ধরনের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে মি. নিজামীকে ২০১০ সালের ২৯শে জুন আটক করা হয়।
এর দু’বছর পর তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
(0)