সাগুর উৎস : সাগু দানার মূল উপাদান এক প্রজাতির পাম গাছ। এই পাম গাছ লম্বায় ৬ থেকে ১৬ মিটার পর্যন্ত হয়। কখনো কখনো ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ২৫টির মতো পাতা হয়। এই গাছে মাত্র একবারই ফুল ফোটে এবং ফল ধরার পর গাছ মারা যায়। আর এই পাম গাছের কান্ডের নির্যাস থেকে সাগু পাওয়া যায়।
সাগু তৈরির পদ্ধতি : সাত থেকে পনের বছর পর সাগু গাছ যখন ফুল ধরার সময় হয় তখন সেটা কেটে এর কাণ্ডকে চিড়ে ফেলা হয়। এরপর এর কাণ্ডের ভেতরের নরম ‘পিথ’কে ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে আলাদা করা হয়। এরপর একে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এর ভেতরের স্টার্চ তরলের নিচে জমা হয়। পানি দূর করে এই সাদা রংয়ের স্টার্চকে আলাদা করে শুকানো হয়। একেই বলে সাগু। একটি গাছ থেকে ১৫০ থেকে ৩০০ কেজি পর্যন্ত সাগু পাওয়া যেতে পারে।
সাগু বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রথমে ময়দা আকারে পাওয়া যায়। একে ইচ্ছে করলে ময়দা আকারেও খাওয়া যায়। কিন্তু বাজারজাতের জন্য একে মেশিনের সাহায্যে দানা করে তারপর খাওয়াও জন্য তৈরি করা হয়। সাগুদানাকে ইংরেজিতে ‘সাগু পার্ল’ বলে।
সাগু প্রধানত উৎপাদিত হয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিজি, পাপুয়া নিউগিনি, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভারতে।
(3589)