চুকনগর প্রতিনিধিঃ ডুমুরিয়ার জলমহল উন্মুক্তের জন্য নয় দফা দাবিতে মৎসজীবি সমিতির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলার শহীদ কমরেড শেখ আব্দুল মজিদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা মস্যজীবী সমিতির সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, উপজেলার মস্যজীবীদের বংশানুক্রমিক পেশা মাছ চাষ বা মাছ আরোহণ করা। প্রকৃত মৎসজীবী হিসেবে আমরা বংশানুক্রমিক পেশার সাথে সম্পৃক্ত থেকে মুক্ত ও বদ্ধ জলাশয়ে মাছ ধরে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি। মৎস্য উৎপাদন, আহরণ এবং বিক্রয়ই আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস। অথচ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বেশিরভাগ জলমহল গুলো আমাদের বেদখলে চলে গেছে। বর্তমানে অধিকাংশ জলমহল প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে।
আপনারা জানেন ২০০৯ সালে সরকার ঘোষণা দেয় “জাল যার জলা তার”। এবিষয়ে সরকার নীতিমালাও তৈরী করে। সরকারী নীতিমালানুযায়ী প্রকৃত মৎসজীবী ছাড়া অন্য কারো জলমহল পাওয়ার সুযোগ নেই। ঘোষিত নীতিমালায় বলা হয়েছে দেশের খাস জলাশয় ও জলমহলসমূহ প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অনুকূলে বন্দোবস্ত প্রদানে অগ্রাধিকার দেয়া এবং রাজস্ব আরোপ করা, পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হবে।
উপজেলাব্যাপী ছডি়য়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য জলমহল। অথচ আমরা অন্যের জলমহলে শ্রম বিক্রি করেই জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করি। এ ধরনের অসংখ্য জলমহল থাকলেও বেশিরভাগ জলমহল চলে গেছে প্রভাবশালী অ-মৎস্যজীবিদের দখলে।এ কারণে কয়েক হাজার নারী পুরুষ মৎস্যজীবী এখন আমাদের বাপ দাদার পেশা হারিয়ে ফেলতে বসেছি। বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে এখন আমরা বংশানুক্রমিক মৎস্য পেশা ছেডে় দিতে বাধ্য হচ্ছি। অ-মৎস্যজীবী ও প্রভাবশালী দখলদারদের হাত থেকে
জলমহল উদ্ধার করা জরুরী। সরকারী নির্দশনা অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের তালিকা হাল নাগাদ করে বাদ পড়া জেলেদের জেলে কার্ড প্রদান করতে হবে। সাগর ও নদ-নদীতে মৎস্য আহরণকারী এবং ইলিশ আহরণকারী জেলেদের চিহ্নিত করে প্রচলিত খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। উন্মুক্ত জলমহলে সরকারী দখল ও রাজস্ব আয় এবং জেলেদের শান্তির্পূণ মৎস্য আরোহণের দাবি জানিয়েছে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মহাসচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি শেখ সেলিম আক্তার স্বপন, সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন প্রমুখ।
(6)