এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই কর্মীরা রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে এনজিওর ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে থেকে এনজিও সংস্থা চেতনা ফাউন্ডেশন পল্লী এলাকায় স্বাস্থ্য সেবার নামে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৫৬জন স্বাস্থ্য কর্মী সুপার ভাইজার সহ প্রায় ৭০ জনকে বিভিন্ন পদে মোটা অংকের টাকায় বেতনে প্রলভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে জামানত গ্রহণ করে গত সেপ্টেম্বর মাসে চাকুরী দেন।
সংস্থার নিয়ম-নীতি অনুযায়ী কর্মীরা প্রতিটি ইউনিয়নে তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। এদিকে চাকুরীর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের ভাগ্যে কোন বেতন-ভাতা জোটেনি। বেতন ও অন্যান্য সুবিধার কথা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবিহিত করলেও তাদের কোন ব্যবস্থা হয়নি। সবশেষে রোববার সকালে ভুক্তভোগী ওই কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মী ফেরদৌস খান, রাজেশ সরকার, পরিতোষ মন্ডল, শান্তা রানী দাস, তাসলিমা খাতুনসহ অন্যরা জানান, আমরা পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে নিয়ম-নীতি অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। আমরা প্রত্যেকে জামানাত হিসাবে দশ থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত দেই। এছাড়া প্রশিক্ষণ খরচ বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে নেয়া হয়।
বেতন হিসাবে আমাদেরকে প্রতি মাসে সাত হাজার পঞ্চাশ টাকাসহ অন্যান্য সুবিধার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা কোন টাকা পায়নি। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানান, কর্মীদের অভিযোগের পর ওই সংস্থার উপজেলা ব্যবস্থাপক দিবাশীষ কুমার ঢালীকে আমার দপ্তরে ডেকে আনা হয়েছে।
এখন তাদের বেতনের ব্যবস্থা না করলে পুলিশের নিকট হস্তন্তর করা হবে।
-আব্দুল লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, খুলনা
(14)