ডুমুরিয়ায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে এক ডিপো মালিক কর্তৃক সরকারী কাজে বাধা ও কর্মকর্তাদের হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদান করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার খর্নিয়া বাজারে মোল্যা ফিস’র মালিক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সাকিসহ বাজারের অন্যান্য চিংড়ী ডিপোতে অপদ্রব্য পুষ করে আসছে। খবর পেয়ে গত ১লা নভেম্বর বিকেল ৩টায় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরোজ কুমার মিস্ত্রীর নেতৃত্বে এক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মোল্যা ফিসে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে মালিক সাকিসহ তার সহযোগীরা বাধা সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। বিগত কয়েক দিন আগে খুলনার মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন দপ্তর’র উদ্যোগে মোল্যা ফিসে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছিল বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গত অক্টোবর মাসে উপজেলার বিভিন্ন চিংড়ী ডিপোতে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ১১টি মোবাইল কোর্ট’র মাধ্যমে এক লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও পুশকৃত ২’শ কেজি চিংড়ী বিনষ্ঠ করা হয়। অব্যাহত ভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার ফলে অসৎ চিংড়ী ব্যবসায়ীরা নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরোজ কুমার মিস্ত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উর্দ্ধতন বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-আঃ লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, খুলনা
(14)