ডুমুরিয়ায় দুই ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে রাস্তা মেরামতের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নে এল জি এস পি’র আওতায় রাস্তা-ঘাট মেরামতের কাজ শুরু হয়। এতে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মানিকতলা স্কুল থেকে কালীতলা পর্যন্ত ইটের সোলিং মেরামত বাবদ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কাজটি স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর জাহান বেগম ও ইউপি সদস্য সরদার আব্দুল হালিম একত্রিত হয়ে শুরু করেন। কিন্তু রাস্তাটির কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সম্পন্ন করা হয়েছে। একে বারেই যেন-তেন ভাবে কাজ করে সমুদয় টাকা তারা আতœসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা রাস্তাটি পুনঃ মেরামত ও দুর্নীতিগ্রস্থ দুই মেম্বারের শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরারব একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষরকারী পাঁচপোতা গ্রামের শহিদুল ইসলাম সরদার, বামুন্দিয়া গ্রামের মোঃ নুরুজ্জামান সরদারসহ অনেকেই জানান, আমরা ৩/৪ গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। তাছাড়া কৃষিপন্য সরবরাহ করতে রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এল জি এস পি’র আওতায় রাস্তাটি মেরামতের জন্য ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু ইউপি সদস্য নুর জাহান বেগম ও ইউপি সদস্য সরদার আব্দুল হালিম নাম মাত্র কাজ করে সমুদয় টাকা আতœসাৎ করেছে। ইউপি সদস্য নুর জাহান বেগম জানান, আমি অসুস্থ্য থাকায় কাজটি হালিম মেম্বারের দায়িত্বে ছিল। তাই কাজ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ইউপি সদস্য সরদার আব্দুল হালিম জানান, রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম, দুর্নীতি বা অর্থ আতœসাৎ করা হয়নি। একটি মহল আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। খর্নিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার জানান, এখানে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। কারণ উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে কাজ পরিদর্শন শেষে একটি প্রত্যায়নপত্র প্রেরনের পর আমি বিল ছেড়েছি। তাই কাজ মোটেই হয়নি, এমন হতে পারে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-আ: লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, খুলনা
(32)