অভিযোগে প্রকাশ; ডুমুরিয়া উপজেলার বামুন্দিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসায় এলাকার ছেলে মেয়েদের ইসলামি শিক্ষা প্রদান করে আসছিল। কিন্তু এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে ঐ গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অর্থায়নে মাদরাসায় আরবি শিক্ষার পাশাপাশি গরিব শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু মাদরাসায় আরবি ছাড়া বাংলা ইংরেজি বিষয় পড়ানোর বাধা হয়ে দাঁড়ান আবুল কাশেম গোলদার। একপর্যায়ে তা বন্ধ করে দেন। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে পরিকল্পিতভাবে আবুল কাশেম গোলদার, তার ছেলে ফখরুল আলম, হারুন অজ্ঞাত ৫-৬জন লোক এনে মাদরাসা ভাংচুর করে চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র লুটপাট করে বাড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বামুন্দিয়া গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান বাদি হয়ে ডুমুরিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছে। রোববার এ প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মসসজিদের সভাপতি আফসার আলী শেখ, আক্তারুজ্জামান শেখ, ডা, মতিয়ার, শামিম হোসেনসহ অনেকেই বলেন; আবুল কাশেম গোলদার ও তার ছেলেরা মসজিদ মাদরাসা ও এলাকার উন্নয়নে সব সময় বিরোধিতা করে আসছেন। গতকালের ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ হালিম বলেন; আমি এ বিষয়ে মীমাংশার চেষ্টা করে পারিনি। এটা আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। আবুল কাশেম গোলদার আরবি ছাড়া অন্য কোন বিষয় মাদ্রসায় পড়ানো শরীয়ত বিরোধি মন্তব্য করে বলেন; আমিও ঐ মাদরাসায় জমি লিখে দিয়েছি। আরবি ছাড়া অন্য কোন বিষয় পড়ালে আমি মেনে নেব না। রোজার মাসে ছেলে মেয়েদের পড়ানো বন্ধ করেছি। গতকাল শনিবার আমার ছেলে ফখরুল আলম খুলনা থেকে কয়েকজন লোক এনে তাদের দিয়ে বেঞ্চ বের করে বাড়ি এনেছে। তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আয়ুব আলী বলেন; আমি বিকেলে তদন্ত করেছি এবং আবুল কাশেম গোলদারের বাড়িতে রাখা বেঞ্চগুলি জব্দ করেছি।
-আঃ লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, খুলনা
(8)