অভিযোগে প্রকাশ; ডুমুরিয়া উপজেলার বামুন্দিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসায় এলাকার ছেলে মেয়েদের ইসলামি শিক্ষা প্রদান করে আসছিল। কিন্তু এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে ওই গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অর্থায়নে মাদরাসায় আরবি শিক্ষার পাশাপাশি গরিব শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মাদরাসায় আরবি ছাড়া বাংলা ইংরেজি বিষয় পড়ানোর বাধা হয়ে দাঁড়ান আবুল কাশেম গোলদার। তিনি প্রভাব কাটিয়ে একপর্যায়ে তা বন্ধ করে দেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে পরিকল্পিতভাবে আবুল কাশেম গোলদার, তার ছেলে ফখরুল আলম ও হারুনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন লোক এনে মাদরাসা ভাংচুর করে চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র লুটপাট করে বাড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বামুন্দিয়া গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান বাদি হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করেন। উল্লেখ্য; আবুল কাশেম গোলদার ১৯৭১ সালে স্বাধিনতা বিরোধি আল বদর বাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে আবুল কাশেম গোলদার সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করে বলেন; আমি যশোর ক্যান্টনমেন্টে ২ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে থেকে ৮ মাস সহযোগিতা করেছিলাম। তবে আল বদর সদস্য ছিলাম কিনা তা আমি জানিনা। তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আয়ুব আলী বলেন; আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টার দিকে মামলার আসামি আবুল কাশেম গোলদার ও তার ছেলে হারুনকে গ্রেফতার করে জেলে হাজতে পাঠিয়েছি।
-আঃ লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, ডুমুরিয়া, খুলনা
(5)