লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়াঃ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)এর নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৯ জন বেসামরিক গেজেটে তালিকাভূক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার তথ্য যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২ফেব্রুয়ারী) ও গত শনিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষে তালিকা দু’একদিনের মধ্যে জামুকায় পাঠানো হবে।
উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বা তাদের প্রতিনিধিরা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পর্কে তথ্য -উপাত্ত্য জমা ও সাক্ষী হাজির করে সাক্ষ্য প্রদান করেন। যাচাই বাছাই কমিটিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও যুদ্ধ কালীন কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন স্বানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা শুধাংশু কুমার ফৌজদার এবং জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে রবীন্দ্র নাথ বৈরাগী।
যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে তারা হচ্ছেন উপজেলার কুলটি গ্রামের শচীন্দ্র নাথ ফৌজদার, নারায়ন চন্দ্র তরফদার, শতীশ চন্দ্র ফৌজদার ও মৃত সমরেশ কুমার তরফদার। কাঞ্চনপুর গ্রামের শামসুর রহমান মোড়ল, মৃত আঃ রাজ্জাক সরদার ও হারেজ উদ্দীন মোড়ল, আরশ নগর গ্রামের একেএম ফারুক, এমকেএম আতিয়ার রহমান, শোভনা গ্রামের মৃত বাসুদেব নাথ, সাহস গ্রামের মোঃ মাহাবুব রহমান, রংপুর গ্রামের প্রফুল্ল কুমার সরকার, ফলইমারী গ্রামের মাখন লাল বৈরাগী, মাদার তলা গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন বাছাড়, খরসঙ্গ গ্রামের রবীন্দ্র নাথ সাহা, পেড়িখালী গ্রামের মিহির কুমার বাছাড়, রাম কৃষ্ণপুর গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ রায়, রুদাঘরা গ্রামের শিবপদ কর্মকার এবং গজেন্দ্র পুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম মানিক জানান, লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকায় যাদের নাম ছাপা আছে সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই বাছাই হয়নি। শুধু মাত্র জামুকা হতে প্রেরিত ১৯ জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট প্রেরণ করা হবে। চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে জামুকা।
(2)