চুকনগর প্রতিনিধি: চুকনগরে ৩বছরের শিশু কন্যাকে ফেলে রেখে প্রেমিকের হাত ধরে গৃহবধু রাতের আঁধারে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বামী বাদী হয়ে আদালতে ৩জনকে আসামী করে সি,আর-৪১৫/২০২০ একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
কিন্তু ডুমুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুব্রত বিশ্বাস ভুলে ভরা একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এদিকে ৩বছরের শিশু কন্যা মায়ের শোকে কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
তিনি ৪১.০১.৪৭৩০.০০০.৩৫.০০০.২০-৬৩৪ নং স্মারকে উল্লেখ করেন বাদী আনন্দ কুমার হালদার ও নন্দিনী হালদার দম্পতির সুখের জীবন ছিল। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বেশ কয়েক মাস পূর্বে বাদী আনন্দ কুমার হালদারের অগোচরে তার স্ত্রী নন্দিনী হালদারের সাথে ১নং বিবাদী আনন্দ মল্লিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সম্পর্ককে স্থায়ী রুপদানের নিমিত্তে ৩বছরের কন্যা সন্তানকে রেখে ১নং বিবাদী আনন্দ মল্লিকের সঙ্গে নন্দিনী হালদার গত ০৮/১১/২০২০ইং তারিখ ভোর রাতে পালিয়ে যায়। কিন্তু নন্দিনী হালদার মূলত্র আনন্দ হালদার ৩বছরের শিশু কন্যা।
কিন্তু তিনি শান্তনা হালদারের নাম বাদ দিয়ে কিভাবে ৩বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন এটায় ভাবনার বিষয়। এদিকে মামলার বাদী আনন্দ হালদার তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য মূল পরিকল্পনাকারী মধুমিতা বিশ্বাসের নাম বাদ দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করায় তিনি ক্ষোভ করে বলেন আজ আমার দুধের বাচ্চা মায়ের শোকে কাঁদতে কাঁদতে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে চরম অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার একটিবারও আমার মাছুম বাচ্চাটির কথা চিন্তা না করে মুল পরিকল্পনাকারীর নাম বাদ দিয়ে একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন দাখিল করেছে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুব্রত বিশ্বাস প্রতিবেদনটি ভুল হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
(93)